Why are you on your way to visit Alipurduar after 39 years:১৯৮৬ সালে রাজীব গান্ধীর পর ২০২৫ সালের ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যা ৩৯ বছর পর এই শহরে কোনো প্রধানমন্ত্রীর আগমন। এই সফর ঘিরে গোটা আলিপুরদুয়ার জেলায় উৎসবের আবহ তৈরি হয়। সকাল থেকেই শহরের রাস্তায় মানুষের ঢল, দোকানপাটে আলো, এবং মোদীর ছবি সম্বলিত পতাকা ও ব্যানারে শহর সেজে ওঠে। প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যেখানে মোদী এক হাজার সতেরো কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্প, যা কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় গ্যাস সরবরাহের উন্নতি ঘটাবে।
মোদীর এই সফর রাজনৈতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি উত্তরবঙ্গে তাদের অবস্থান মজবুত করতে চায়। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার তৃণমূলে যোগদান এবং মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয় দলের মনোবলে প্রভাব ফেলেছে। এই প্রেক্ষাপটে মোদীর সফর বিজেপির কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জাগাতে পারে।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই সফরকে কটাক্ষ করে বলেছে, “প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাশ করেছে,” যা রাজনৈতিক তরজা আরও বাড়িয়ে তোলে। মোদী তার ভাষণে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “বাংলার সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রধানমন্ত্রীর সফরে খুশি, কারণ তারা আশা করেন এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলি তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর আগমনে আমরা গর্বিত; আশা করি আমাদের এলাকার উন্নয়ন হবে।”
সামগ্রিকভাবে, মোদীর এই সফর আলিপুরদুয়ার এবং উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং রাজনৈতিকভাবে বিজেপি তাদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে পারে।