Trinamool wins Madrasa Samiti elections in Kakdwip:-দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার উকিলেরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতাধীন বিশালক্ষীপুর পূর্বাশা হাই মাদ্রাসা স্কুলের মাদ্রাসা সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ সব ছয়টি পদে আজ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিজয় অর্জন করেছেন—নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করে এই জয় নিয়ে তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সবুজ আবির ছড়িয়ে আনন্দধ্বনিতে মুখরী হয়েছে পুরো এলাকা। বিজয়ী প্রার্থীরা একযোগে জানিয়েছেন, এই জয় আসলে প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার জয়—মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “মানুষের দুয়ারে দুয়ারে” পৌঁছে দেওয়া প্রকল্পের ফল, যেগুলি সাধারণ মানুষের জীবনকে সুরক্ষা ও সুযোগে ভরিয়ে তুলেছে। একের পর এক নির্বাচনে উৎকর্ষতা দেখিয়েই তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, এবং আশাবাদ জাগছে যে, আসন্ন বিধানসভা ভোটেও এই পঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ব্যাপক ব্যবধানে জয়লাভ করবে।

এই জয়ের গুরুত্ব শুধু রাজনৈতিক প্রতীক মাত্র নয়—মাদ্রাসা সমিতি নির্বাচন এই গ্রামীণ শিক্ষাসংস্থার অভ্যন্তরীণ পরিচালনা ও সম্প্রদায়ের আস্থা—দুটোর প্রতিফলন। শিক্ষক, পড়ুয়া, অভিভাবক থেকে শুরু করে পুরো এলাকাটি একজন একা নেতা নয়, বরং বিশ্বাস ও পরিষেবার মাধ্যমে নির্মিত তৃণমূল প্রতীক দিয়েই ভাবছে নিজেকে সংহত।
স্থানীয়রা বলছেন, মাদ্রাসা কমিটির সব পদে তৃণমূলের জয় আসলে “মানুষের বিশ্বাস”—যে বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে উৎপন্ন হয়েছে। কোনো বিরোধী দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও তারা তৃণমূলের নেতৃত্বের সঙ্গে নিজেদের স্বস্তি ও নিরাপত্তার প্রায়ই অনুভব করে—এটি একটা রাজনৈতিক ব্র্যান্ড ইমেজ গঠন করেছে।

এ দিকে শিক্ষিত অনেক মঞ্চ থেকেই গুণী সমাজকর্মীরা বলছেন, এই জয়ের আরও বড় অর্থ হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এখন নীচু পর্যায়ে এসেছে—সমিতিতে নির্বাচিত হওয়া মানুষের হাতে মাদ্রাসা পরিচালনা, প্রণালির উন্নয়নের সুযোগ এসেছে—এমন ক্ষমতায়নের কথা নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ভবিষ্যতে এই জয় স্থানীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, গ্রামীণ ভোটারদের সমর্থন জোরদার করবে, আর মাদ্রাসার পরিচালনায় পারদর্শিতা এসে পড়বে।