Trinamool leaders worship at Kankalitala on Abhishek’s birthday: আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। বীরভূমের পবিত্র পীঠস্থান কঙ্কালীতলায় তাঁকে ঘিরে উদযাপন ও পুজোর মাধ্যমে দিনটি বিশেষ করে তুললেন জেলা তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। কঙ্কালীতলা, যা সতীপীঠগুলির মধ্যে অন্যতম, সেখানে অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ।
এই দিনটিকে আরও বিশেষ করে তুলতে অভিষেকের নামে কঙ্কালীতলায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়, যেখানে তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়। কাজল শেখ জানান, “অভিষেকের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং তাঁর সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি দলের একজন অনুপ্রেরণা এবং ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক।” পুজো শেষে অভিষেকের জন্মদিন উপলক্ষে কঙ্কালীতলায় কেক কাটা হয়, যা উপস্থিত সকলকে উৎসবের আনন্দে মাতিয়ে তোলে। এই অনুষ্ঠানে বীরভূম জেলার সভাধিপতি কাজল শেখ, নানুরের বিধান চন্দ্র মাঝি, বোলপুর শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং অন্যান্য যুব তৃণমূল নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
অভিষেকের জন্মদিন উদযাপনের এই ধরনের আয়োজন শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়, স্থানীয় মানুষদের মধ্যেও এক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভিষেকের জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতি দলের এবং স্থানীয় নেতাদের আনুগত্য প্রকাশ পায়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দা এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, অভিষেকের মতো তরুণ নেতা দলের দায়িত্ব নেওয়ায় ভবিষ্যতে দলের মধ্যে আরও শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন নেতার চেয়েও বেশি, তিনি আমাদের এলাকার যুবদের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। তাঁর মতো নেতৃত্ব আমাদের বীরভূমের গর্ব।”
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অভিষেকের প্রতি এমন আনুগত্য এবং ভক্তি প্রকাশের পেছনে এক ধরনের রাজনৈতিক বার্তাও রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা অভিষেকের জন্মদিন পালনে অংশ নিচ্ছেন, যা একে অন্যের প্রতি আনুগত্য এবং দলের প্রতি তাঁদের নিষ্ঠা প্রদর্শনের উদাহরণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান দলের ভেতরে ঐক্যবদ্ধতার বার্তা দিতে পারে, যা আসন্ন নির্বাচনী পরিবেশে দলের ভিতকে আরও শক্তিশালী করবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের পর দলের ভবিষ্যৎ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন, তাঁর প্রতি দলের নেতৃবৃন্দের এমন নিষ্ঠা দলের মধ্যেই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও তাঁকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে। অনেকেই মনে করেন, অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে একটি নতুন প্রজন্মের ভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসছে, যা ভবিষ্যতে দলের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

এমন এক পবিত্র স্থানে অভিষেকের জন্য পুজোর আয়োজন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করছে। কঙ্কালীতলার মতো ধর্মীয় স্থান, যা সতীপীঠের মর্যাদা পেয়েছে, সেখানে দলের নেতার মঙ্গল কামনায় পুজো করা দলীয় ঐক্য এবং সাফল্যের কামনা প্রকাশ করছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ দলকে ঐক্যবদ্ধ ও প্রেরণা জোগাতে সাহায্য করতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
সবমিলিয়ে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে কঙ্কালীতলায় এই বিশেষ আয়োজন কেবলমাত্র জন্মদিন উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি রাজনৈতিক আনুগত্য এবং দলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতার একটি প্রতীকী উদযাপনও। আগামী দিনে অভিষেকের নেতৃত্ব এবং তাঁর প্রতি এই আনুগত্য দলের ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।