Trinamool factional clash in Birbhum:পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোধগ্রাম। গত শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এই সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তাদের প্রত্যেককে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই সংঘর্ষ? কারা এই ঘটনার নেপথ্যে? আসুন, বিস্তারিত জানি।প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই সংঘর্ষ শেখ আসগর ওরফে আদান গোষ্ঠী এবং শেখ রহিম ওরফে লালন গোষ্ঠীর কর্মীদের মধ্যে হয়। তবে এই লড়াইয়ের পিছনে সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।স্থানীয়দের মতে, দলীয় আধিপত্য, স্থানীয় স্বার্থ, এবং পঞ্চায়েত স্তরের ক্ষমতার লড়াই এই সংঘর্ষের মূল কারণ হতে পারে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন,“বীরভূমে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। দলীয় স্বার্থ ও ক্ষমতার লড়াইয়ে বারবার এমন সংঘর্ষ ঘটছে।”প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শুক্রবার রাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়, তারপর তা ধীরে ধীরে সংঘর্ষের রূপ নেয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে দুই পক্ষ লাঠি, ইট-পাথর নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।এই সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হন। রাতের অন্ধকারে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরোননি। খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান,“হঠাৎ করেই চারপাশে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। আমরা জানতেই পারিনি কী হচ্ছে! এক মুহূর্তে গ্রাম যেন রণক্ষেত্র হয়ে উঠল।”সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে এই সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো স্পষ্ট বক্তব্য আসেনি।একজন পুলিশ আধিকারিক জানান,“আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। যারা আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এই সংঘর্ষের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার মানুষ বলছেন,“

এভাবে যদি দলীয় গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলতেই থাকে, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?”একজন স্থানীয় দোকানদার বলেন,“আমরা শান্তিতে ব্যবসা করতে চাই। কিন্তু বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বীরভূমে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন,তৃণমূলের ভেতরে অনেক ক্ষোভ আছে। এক পক্ষ চায় সংগঠনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, অন্য পক্ষ চায় নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে। এই দ্বন্দ্ব থেকেই গোষ্ঠী সংঘর্ষ হচ্ছে।”