Trinamool booth president’s name in the list of residence!: বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বুথ সভাপতির নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মৌসুনি দ্বীপের বাগডাঙা এলাকার রতন মণ্ডল এবং কুসুমতলার বংশীবিহারী মণ্ডল পাকা বাড়িতে বসবাস করলেও, কাঁচা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, এই দুই তৃণমূল নেতার নাম আবাস যোজনার চূড়ান্ত তালিকায় অনুমোদিত হয়েছে।অন্যদিকে, বাগডাঙা ও কুসুমতলার মৎস্যজীবী পরিবারগুলোর অভিযোগ, যারা প্রকৃতপক্ষে কাঁচা বাড়িতে বসবাস করছেন এবং বহু বছর ধরে আবাস যোজনার সুবিধার অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদের নাম তালিকায় নেই। স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ মণ্ডল বলেন, “আমাদের ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে, বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। অথচ আমাদের নাম তালিকায় নেই। যারা আগে থেকেই পাকা বাড়িতে থাকে, তারা কেমন করে আবাস যোজনার সুবিধা পায়?”
এই অভিযোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বীপাঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রায়শই ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়া মৌসুনি দ্বীপের মানুষের জন্য আবাস যোজনা একমাত্র ভরসা। কিন্তু তালিকায় অনিয়ম তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান তালিকা তৈরিতে ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে হয়তো কিছু ভুল হয়েছে। তবে চূড়ান্ত পর্যায়ে তা সংশোধন করা হবে।
” অন্যদিকে, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক মধুসূদন মণ্ডল আশ্বাস দিয়ে বলেন, “পাকা বাড়ির বাসিন্দাদের নাম সুপার চেকিংয়ে বাতিল হবে। আর যারা প্রকৃতভাবে যোগ্য, তাদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনাকে তীব্র সমালোচনার মুখে ফেলেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুমন গায়েন বলেন, “এই ঘটনা তৃণমূলের দুর্নীতির আরও একটি উদাহরণ। প্রকৃত গরিব মানুষের অধিকার লুট করে তৃণমূলের নেতারা নিজেদের সুবিধা আদায় করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করব।”বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনাকে তীব্র সমালোচনার মুখে ফেলেছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা সুমন গায়েন বলেন, “এই ঘটনা তৃণমূলের দুর্নীতির আরও একটি উদাহরণ। এই ঘটনা প্রশাসনের ওপর একটি বড় দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। যদি তালিকা পুনর্বিবেচনা না করা হয়, তাহলে জনরোষ আরও বাড়তে পারে। একইসঙ্গে, এ ধরনের ঘটনায় আবাস যোজনার মতো জনমুখী প্রকল্পের প্রতি মানুষের আস্থা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।মৌসুনি দ্বীপের এই ঘটনা কেবলমাত্র একটি গ্রামের গল্প নয়; এটি প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং গরিব মানুষের অধিকারের প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে প্রকৃতপক্ষে যারা এই সুবিধার যোগ্য, তারা এর সুফল পান।