Train derailed again! Rangapani again :ফের ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল রাঙাপানি এলাকায়। মাস দেড়েক আগে এই জায়গায় ঘটেছিল মারাত্মক দুর্ঘটনা, আর আজ আবার সেখানেই ঘটল একটি রেল দুর্ঘটনা। এবার লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিসনের বরাবাম্বুতে গতকাল এই মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়, এবং তারপরই সেই লাইনচ্যুত হওয়া বগিতে ধাক্কা মারে মুম্বই-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৮টি বগি।
রাঙাপানি স্টেশনের কাছে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গত ১৭ জুন, এই একই স্থানে মালগাড়ির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে, যার মধ্যে মালগাড়ির চালকও ছিলেন। বারবার একই জায়গায় দুর্ঘটনার ঘটনা রেলের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
গত বছর থেকে ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা বেশ বাড়ছে। ২৬ অগাস্ট মাদুরাইয়ে ট্রেনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত হন। ২৯ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে দুই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংঘর্ষে ১৩ জন মারা যান, আহত হন ৫০ জন। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিসনে আজকের দুর্ঘটনা বলে দিচ্ছে যে, রেললাইনের নিরাপত্তা এখনও মানসম্মত হয়নি। উদ্ধারকাজে ঝুঁকি বাড়ছে, আর প্রতি বারের মতোই এই ঘটনায় অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। এখনও অনেক যাত্রীর খোঁজ মেলেনি, যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত।
রেল প্রশাসন এবং সরকারি এজেন্সিগুলির উপর এখন চাপ বাড়ছে যে, তারা কীভাবে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পারে। সবার চোখ এখন এই বিষয়ের উপর, কিভাবে নিরাপদে ট্রেন পরিচালনা করা যায় এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়।এই ঘটনা যে কেবল যাত্রীদের জন্য মারাত্মক তা নয়, এর ফলে রেলওয়ের সম্পদেও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটার পর, এই বিশেষ এলাকায় রেললাইনের নিরাপত্তা ও তার মানদণ্ড যাচাই করা এবং তার উন্নতি সাধন একটি জরুরি প্রয়োজন। এছাড়াও, রেলের দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য যে সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তার প্রয়োগ কতটা কার্যকর তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সরকার এবং রেল প্রশাসনকে এই দুর্ঘটনাগুলির পর তদন্ত কমিটি গঠন করে সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করা এবং তা দূরীকরণের উপায় বের করা উচিত।
রেলপথের এই সব দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য যেন একটি নিরাপদ পরিবহন পদ্ধতি নিশ্চিত করা যায়, সেদিকে মনোনিবেশ করা জরুরি। যাত্রীদের নিরাপত্তা সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, রেললাইনের নিয়মিত পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ, এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকার আবার পুনর্নির্মাণ ও শক্তিশালী করা উচিত।
এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে তাদের দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করা উচিত এবং যে কোন অবহেলার জন্য যথাযথ বিচার প্রদান করা উচিত। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো গেলে তবেই নাগরিকদের রেলযাত্রা সহজ ও নিরাপদ হবে। এর প্রতিকারে যথাযথ পদক্ষেপ ও দ্রুত উদ্ধার পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধপ্রবণ কর্মকাণ্ড রোধ করা সম্ভব।