Tragic accident on the way to Kumbh Kulti on National Highway 19 : কুম্ভমেলার পবিত্র স্নানে যাওয়ার পথে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রামের একই পরিবারের ৮ জন একটি জাইলো গাড়িতে করে প্রয়াগরাজ যাচ্ছিলেন, কিন্তু পথেই তাঁদের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। কুলটি থানার চৌরঙ্গী মোড়ে, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের গাড়ি। ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয় এবং ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের দ্রুত আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।দুর্ঘটনার পর এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছিল এবং আচমকাই একটি লরি এসে সেটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। চালক সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, “গাড়ির স্পিড ছিল ৭০ থেকে ৮০-এর মধ্যে। আচমকা একটি লরি আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মারে, তারপর গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক কন্টেনারে গিয়ে ধাক্কা খায়। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে গেল যে কিছু বোঝার সময়ই পাইনি।”
স্থানীয় মানুষজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেন। কুলটি থানার পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা সংকটজনক।
এই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতদের পরিবার শোকে বিহ্বল। প্রতিবেশীরা জানালেন, “এরা খুবই ধার্মিক পরিবার। প্রত্যেকবার কুম্ভমেলায় স্নান করতে যান। ভাবতেই পারছি না, এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”এই দুর্ঘটনা আবারও জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। প্রায়শই দেখা যায়, জাতীয় সড়কে অতিরিক্ত গতি এবং ওভারলোডেড লরিগুলোর কারণে দুর্ঘটনার হার বেড়েই চলেছে। বিশেষত, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কুখ্যাত। ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “আমরা বারবার ট্রাক চালকদের গতিসীমা মেনে চলার অনুরোধ করি, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা তা মানেন না। ফলে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।”
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেটাই এখন দেখার। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে এবং চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।