Trade fair organized by Raniganj Chamber of Commerce: রানিগঞ্জের রাজবাড়ী মাঠে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে রানিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে চার দিনব্যাপী “কয়লাক্ষেত্র ট্রেড এক্সপো ২০২৫”। এই বাণিজ্য মেলা রানিগঞ্জ তথা সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্পক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন অতিথিরা। উপস্থিত ছিলেন এডিডিএ চেয়ারম্যান কবি দত্ত, আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, রানিগঞ্জ ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার শুভদীপ গোস্বামী, বোরো চেয়ারম্যান মুজাম্মিল শাহজাদা, কাউন্সিলর ডক্টর সত্যজিৎ বসু, এবং দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও রানিগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি রোহিত খৈতান, প্রধান উপদেষ্টা রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান, কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রদীপ বাজোরিয়া, ট্রেড ফেয়ার কমিটির চেয়ারপারসন মহেশ কেদিয়া এবং আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মেলায় প্রায় ৮৪টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় এবং বাইরের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য ও পরিষেবা প্রদর্শন করছেন।
মেলার স্টলগুলিতে স্থানীয় হস্তশিল্প, পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, খাদ্যপণ্য এবং গৃহস্থালী সামগ্রী থেকে শুরু করে শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত আধুনিক সরঞ্জাম পর্যন্ত সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, “এটি আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগ, কারণ আমরা এখানে শুধু বিক্রির নয়, বরং বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব।” প্রযোজক এবং উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই মেলা এলাকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি দত্ত বলেন, “রানিগঞ্জের মতো শিল্পসমৃদ্ধ এলাকায় এই ধরনের বাণিজ্য মেলা ব্যবসার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। এটি শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের নয়, এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় যোগ করেন, “বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় এই ধরনের মেলা ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা জোগাবে। এটি এলাকার মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে।” রানিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিষ্ঠা ১৯৫৯ সালে। সেই থেকে তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে এবং তাদের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন।
রানিগঞ্জের মানুষ এই মেলাকে ঘিরে বেশ উচ্ছ্বসিত। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, “আমাদের পণ্যের প্রচারের জন্য এটি একটি বড় মঞ্চ। বহু মানুষ মেলায় আসছেন এবং আমাদের পণ্য সম্পর্কে জানছেন।” মেলা আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেলার শেষ দিন পর্যন্ত দর্শকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ থাকবে।
এই বাণিজ্য মেলা রানিগঞ্জের ঐতিহ্য এবং শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে সকলেই আশাবাদী। স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের উপর এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রানিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের এই উদ্যোগ একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে, যেখানে স্থানীয় ব্যবসার সঙ্গে মানুষের আবেগ এবং উন্নয়ন একসাথে মিলে গিয়েছে।