Theft at CRPF jawan’s house in Raniganj, police investigating : রানীগঞ্জের ঝাঁটি ডাঙ্গা এলাকায় সিআরপিএফ জওয়ান শোয়েব ইমতিয়াজ হোসেনের বাড়িতে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল এবং সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও চুরির কোনো প্রমাণ সেখানে ধরা পড়েনি। এই রহস্যময় ঘটনার তদন্তে নেমেছে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ
শোয়েব ইমতিয়াজ হোসেন, যিনি বর্তমানে দিল্লিতে তার পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছেন, তার রানীগঞ্জের বাড়ি ফাঁকা পড়ে ছিল। বাড়িটি সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা সুরক্ষিত ছিল, এবং শোয়েব মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্যামেরার ফুটেজ মনিটর করতেন। তবে ঘটনার রাতে তিনি কোনো অস্বাভাবিক কার্যকলাপ দেখেননি। তবুও বাড়ি থেকে মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া
এলাকার বাসিন্দারা এই চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত। স্থানীয় এক বাসিন্দা, অরুণ পাল বলেন, “এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও চুরির ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলছে।”
পুলিশের ভূমিকা ও তদন্তের অগ্রগতি
রানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ অফিসার অনুপম সিং বলেন, “এই ঘটনার তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করা যাবে।”
সিআরপিএফ জওয়ানের প্রতিক্রিয়া
শোয়েব ইমতিয়াজ হোসেন জানান, “আমি বিশ্বাস করি পুলিশ এই ঘটনার কিনারা করবে। তবে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটেছে, এটি সত্যিই অদ্ভুত।”
সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
এই চুরির ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। স্থানীয় দোকানদার রাজীব দাস বলেন, “আমাদের এলাকায় আগে এমন ঘটনা খুব কম ঘটেছে। সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও চুরি হওয়া মানে, চোরেরা অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে কাজ করেছে।”

সম্ভাব্য প্রভাব ও করণীয়
এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় এলাকায় পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো জরুরি। এই ঘটনার পর এলাকাবাসীরা তাদের বাড়ির সুরক্ষার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করতে শুরু করেছেন।
উপসংহার
রানীগঞ্জের এই চুরির ঘটনা শুধু একটি বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী চুরি নয়, বরং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর এক বড় প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ এই রহস্যময় ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর, তবে এই ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং বাসিন্দাদের যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।