...
Thursday, April 3, 2025
Google search engine
Homeরাজনীতিঅন্যানো রাজনীতিআদিবাসীরা জন্মদিন পালন করলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী'র

আদিবাসীরা জন্মদিন পালন করলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী’র

The tribals celebrated Narendranath Chakraborty’s birthdayঃ পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের লক্ষ্মী মুর্মুর বাড়িতে এবারের জন্মদিনের গল্প যেন এক নতুন অধ্যায় যোগ করল। বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভালোবাসা আর আবেগ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উঠে এলো। গ্রামবাংলার সরল মানুষজন যেভাবে তাদের প্রিয় নেতার জন্য আয়োজন করেছিলেন, তা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিধায়ক নিজেও। বড় শহরের চেয়ারমানদের করতালির মাঝে কেক কাটার চেয়ে এই সহজ-সরল পরিবেশে আদিবাসী নাচ-গানের মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপনের আনন্দই ছিল অসাধারণ।লক্ষ্মী মুর্মু বললেন, “জীবনে ভাবিনি দাদা আমার বাড়ির দাওয়াই বসে খাবার খাবেন। দাদা আমাদের কাছে ভগবান। দাদার প্রতিটি সুখ-দুঃখে আমরা এভাবেই পাশে থাকতে চাই।” এই বক্তব্য যেন তার অনুভূতির গভীরতাকেই প্রকাশ করল। লক্ষ্মীদির মতো আরও বহু মানুষ বিধায়কের প্রতি তাদের মনের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। এ যেন কেবল জন্মদিনের উদযাপন নয়, বরং একজন নেতার প্রতি তার এলাকার মানুষের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার প্রতীক।

বিধায়কের মতে, “এমন আন্তরিক ভালোবাসা এবং আবেগপূর্ণ উদযাপন বড় হোটেলের সাজানো আয়োজনে পাওয়া সম্ভব নয়। এই মানুষগুলো আমার জীবনের শক্তি। তারা যেভাবে আমাকে আপন করে নিয়েছে, তা কোনো বড় সাফল্যের চেয়েও বেশি আনন্দ দেয়।” তিনি আরও বলেন, “এমন মুহূর্তগুলো আমার রাজনৈতিক জীবনকে আরও অর্থবহ করে তোলে।”এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে গ্রামে যেন উৎসবের আমেজ ছিল। গ্রামের মহিলারা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে আদিবাসী নাচ পরিবেশন করলেন, আর পুরুষেরা ঢোল এবং মাদলের তালে তাল মেলালেন। এমনকি ছোটরাও তাদের মত করে যোগ দিয়েছিল এই অনুষ্ঠানে। চারিদিক থেকে শুধুই হাসি, আনন্দ, আর খুশির আওয়াজ ভেসে আসছিল।

images?q=tbn:ANd9GcTgofJ YXIdY8Oy1RFy6ZO4J gPQzBcPFAoxPJgKvhuPIUeryyKYXGo542YafN1

নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “এই মানুষগুলোর জীবনে একটু আনন্দের ছোঁয়া আনাই আমার কাজ। তাদের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” এ ধরনের সম্পর্কই রাজনীতির সত্যিকারের সৌন্দর্য প্রকাশ করে।তবে এই উদযাপন শুধু আনন্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এতে উঠে এসেছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমস্যার কথাও। তাদের দৈনন্দিন জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো বিধায়কের কাছে তুলে ধরতে পেরেছেন তারা। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আশ্বাস দিয়েছেন, “আপনাদের সব সমস্যার সমাধানে আমি সর্বদা পাশে আছি।” এই আশ্বাস যেন তাদের জীবনের নতুন আলোর দিশা দেখায়।এই ধরনের উদযাপন কেবল একটি সম্পর্ককেই শক্তিশালী করে না, বরং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা এবং সংহতির বার্তা দেয়। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য এটি একটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই অনুষ্ঠানটি যেন গ্রামবাংলার সরলতাকে আরও একবার সামনে এনে দিল। তা ছাড়া একজন নেতা এবং তার মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক থাকা উচিত, তার সেরা উদাহরণ হয়ে রইল এই উদযাপন। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মতো নেতারা যদি তাদের এলাকার মানুষের পাশে এভাবে দাঁড়াতে পারেন, তবে তা সবার জন্যই অনুপ্রেরণা হতে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.