The monsoon has arrived ahead of schedule, and it will be scorching hot: মে মাসের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলার আকাশে দেখা মিলেছে বর্ষার আগমনের, তবে সেই সঙ্গে ভ্যাপসা গরমের দাপটও কমছে না। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৭ মে বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়াতে পারে। কলকাতায় ইতিমধ্যেই আংশিক মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি বজায় রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে, এই বৃষ্টির মাঝেও তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় গরমের অনুভূতি কমছে না। এদিকে, কেরালায় বর্ষা ২৪ মে পৌঁছেছে, যা গত ১৬ বছরে সবচেয়ে আগাম বর্ষা প্রবেশ। এই আগাম বর্ষা প্রবেশ কৃষকদের জন্য আশার আলো জাগাচ্ছে, কারণ এটি খরিফ ফসলের বপনের সময়সীমা এগিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তবে, আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করছেন যে, কেরালায় আগাম বর্ষা প্রবেশ মানেই বাংলায় তাড়াতাড়ি বর্ষা প্রবেশ নয়, কারণ এর উপর মৌসুমী বায়ুর প্রবাহ ও বঙ্গোপসাগরের উপর গঠিত নিম্নচাপের প্রভাব রয়েছে।
কলকাতার বাসিন্দা ও অফিসযাত্রীদের জন্য এই আবহাওয়া কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ভ্যাপসা গরমের কারণে অস্বস্তি বজায় রয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “বৃষ্টি হলেও গরম কমছে না, ঘাম ঝরছে সারাদিন।” আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, তবে সেই সঙ্গে গরমও বজায় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বাইরে বের হলে ছাতা ও হালকা পোশাক ব্যবহার করতে এবং পর্যাপ্ত জল পান করতে। সব মিলিয়ে, বাংলার আকাশে বর্ষার আগমনের সুর বাজতে শুরু করেছে, তবে মাটিতে এখনও ভ্যাপসা গরমের ছোঁয়া রয়ে গেছে। আসন্ন বৃষ্টির দিনে এই অস্বস্তি কিছুটা কমবে বলে আশা করা যায়।