The Mahakumbh Yatra of the Undefeated Aadhya:অপরাজিতা আঢ্য, বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সম্প্রতি মহাকুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন, যা ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং শিবরাত্রির দিন সমাপ্ত হবে। আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন এই মহাযজ্ঞে তিনি যে গভীর অনুভূতির সম্মুখীন হয়েছেন, তা তিনি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। একদিকে সিনেমা ও থিয়েটারের দুনিয়ায় ব্যস্ত সময় কাটানো, অন্যদিকে আত্মার পরিশুদ্ধির সন্ধানে তাঁর এই মহাকুম্ভ যাত্রা সত্যিই অনন্য।অপরাজিতা তাঁর ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতা, যেখানে তাঁকে ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি দিতে দিতে নৃত্য করতে এবং গঙ্গায় প্রদীপ ভাসিয়ে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। তিনি লিখেছেন, “গুরু না চাইলে জীবনে কিছুই হয় না। জীবন সম্পূর্ণ হয় না।” এই একটি বাক্যের মধ্যেই ধরা পড়েছে তাঁর গভীর আধ্যাত্মিকতা ও বিশ্বাস।
তিনি মনে করেন, গুরুর আশীর্বাদ ছাড়া এমন এক পুণ্যক্ষেত্রে যোগ দেওয়া সম্ভব হতো না।মহাকুম্ভে শুধু অপরাজিতা নন, আরও অনেক তারকা অংশ নিয়েছেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার ও অরিন্দম শীলের মতো তারকারাও ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেছেন। তাঁরা সকলেই অনুভব করেছেন, এই স্থান শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মের নয়, এটি এক সর্বজনীন আধ্যাত্মিকতা ও ঐতিহ্যের প্রতীক।মহাকুম্ভ মেলা, যা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ হিসেবে পরিচিত, প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু সাধু, তীর্থযাত্রী ও পর্যটক এই মেলায় যোগ দিচ্ছেন, যার ফলে ভারতের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব আরও একবার বিশ্ব দরবারে প্রতিফলিত হচ্ছে।অপরাজিতা আঢ্য তাঁর পরিবারের সঙ্গেও মহাকুম্ভে সময় কাটিয়েছেন এবং সেই মুহূর্তগুলিও সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “অমৃত কুম্ভের সন্ধানে,”
যা তাঁর গভীর আত্মানুসন্ধানের প্রতিফলন।এই মহাকুম্ভ শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বিশাল প্রভাব ফেলছে। মেলা উপলক্ষে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে, ছোট ব্যবসায়ী থেকে বড় হোটেল মালিক—সবাই উপকৃত হচ্ছেন। তবে এত বিশাল জনসমাগমের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও পুলিশ কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়াও চমকপ্রদ। অনেকেই বলছেন, “তারকাদের কাছ থেকে এই ধরনের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদেরও অনুপ্রাণিত করে,” আবার কেউ কেউ বলছেন, “মহাকুম্ভ শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির এক মহামিলনক্ষেত্র।”