The houses of 5 Trinamool activists were razed. : নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় একটি পোস্টার লাগানো হয়েছিল, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পাঁচজন তৃণমূল কর্মীর ছবি ছিল। এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ, পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আক্তার হোসেনের নাম বা ছবি পোস্টারে ছিল না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুষ্কৃতীরা বেছে বেছে পোস্টারে থাকা পাঁচ তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বৃহস্পতিবার রাতে হামলাকারীরা জানালার কাচ, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত এক কর্মী জানান, “আমরা কোনো দোষ করিনি। অথচ আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হল। পরিবার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” অন্য এক ব্যক্তি বলেন, “এই ঘটনা আমাদের এলাকার শান্তি নষ্ট করেছে। দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।” তবে অভিযুক্ত ওয়ার্ড সদস্য আক্তার হোসেন দাবি করেছেন, “আমি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই। আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ যেন প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে।”
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, এটি রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে ঘটেছে। তবে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করছে। এলাকাবাসীর একাংশ মনে করেন, এই ঘটনা স্থানীয় রাজনীতির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল এবং এর ফলে এলাকার শান্তি ব্যাহত হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন এবং এ ধরনের ঘটনা পুনরায় ঘটবে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং প্রতিহিংসার জেরে সাধারণ মানুষকে এই পরিস্থিতি সহ্য করতে হচ্ছে। একজন প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, “এলাকার শান্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির একটি দুঃখজনক ছবি ফুটিয়ে তুলেছে। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপই এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। রাজনৈতিক নেতাদেরও নিজেদের দায়িত্ববোধ বুঝতে হবে এবং এ ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।