Friday, April 11, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্যসীমান্তে কাঁটাতার লাগানো নিয়ে উত্তেজনা BSF ও BGB র

সীমান্তে কাঁটাতার লাগানো নিয়ে উত্তেজনা BSF ও BGB র

Tensions between BSF and BGB over barbed wire fencing on the border:বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে উত্তেজনা এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে তিন বিঘা করিডোরে কাঁটাতার লাগানোর ঘটনায় বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) এবং বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) এর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। এই ঘটনাটি স্থানীয় গ্রামবাসীদের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তাদের চেষ্টার পরও সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে বাধা তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা যখন নিজের দেশের ভূখণ্ডে কাঁটাতারের বেড়া শক্তপোক্ত করার জন্য খুঁটি লাগাচ্ছিলেন, তখন বিএসএফ এবং বিজিবি এর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।মুখে মুখে ঝগড়া হয়ে যাওয়ার আগেই, এই ঘটনাটির মূল কারণটি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। বিএসএফ সদস্যরা দাবি করেন যে, তারা তাদের দেশীয় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করতে পারবে, কিন্তু বাংলাদেশি বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এই কার্যক্রমে বাধা দেয়। বিজিবি এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, তারা জানাতে চায় যে, বিএসএফ তাদের ভূখণ্ডে কাঁটাতার লাগাতে পারবে না। বিজিবির বক্তব্য ছিল, “কাঁটাতার লাগানোর বিষয়ে কি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে?” এদিকে বিএসএফ এর সদস্যরা পাল্টা বলেন, “এটি আমাদের দেশ, আমাদের সীমান্ত, আমরা এর নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি। প্রতিবেশী দেশ কেন আমাদের কাজে বাধা দেবে?”এটি শুধুমাত্র সীমান্তের একটি সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এর পেছনে একটি বড় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রশ্ন রয়েছে।

বিশেষ করে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়ে গেছে। এর ফলস্বরূপ, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী আরও সতর্ক এবং সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন সেই সচেতনতায় একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।এদিকে, বিজিবি-এর একজন কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, “আপনারা (বিএসএফ) কি কমিটমেন্ট করেছেন? কাজ হবে না। এখন কেন কাঁটাতার দিচ্ছেন? আপনি কি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন?” বিএসএফ এর কর্মকর্তারা এর পর পাল্টা জানান, “এটা আমাদের দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। আপনাদের ভাগ্য ভালো যে এখনও নিরাপদ আছেন।”এই ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে আরও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, কারণ তারা চায় না সীমান্ত এলাকায় কোনও ধরনের ঝগড়া কিংবা উত্তেজনা বাড়ুক। তবে, এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় সরকারেরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষত, যখন দুটি দেশের মধ্যে বর্ডার সিকিউরিটি নিয়ে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তখন উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত করা জরুরি।এই ঘটনাটি শুধু একটি সীমান্ত এলাকার সংঘর্ষ নয়, বরং এটি দুটি দেশের মাঝে সম্পর্কের উত্তেজনাকেও প্রতিফলিত করে। কিছুদিন আগে সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল, যা দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। এই নতুন ঘটনায় এই সমস্যা আরও তীব্র হতে পারে, বিশেষ করে যদি না উভয় পক্ষ সমঝোতা ও আলোচনা না করে।তবে, স্থানীয়রা এই ঘটনায় বিভক্ত।

bsf 1 2

কিছু মানুষ বিএসএফ এর উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন, কারণ তারা মনে করেন যে কাঁটাতারের বেড়া শুধু সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যই নয়, বরং সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্যও অপরিহার্য। অন্যদিকে, বিজিবির ভূমিকাকেও কিছু লোক সমর্থন করেন, কারণ তারা মনে করেন যে বিএসএফ এর কাঁটাতারের বেড়া তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে পারে।এই উত্তেজনা শুধু সীমান্তে নয়, পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করবে। বিশেষ করে যেহেতু সীমান্তে চলমান বৈরিতা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন এই ঘটনা ভবিষ্যতে আরও বড় রূপ নিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের উচিত এই ধরনের ঘটনা সমাধানের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করা। কারণ সীমান্তে সংঘর্ষ অথবা উত্তেজনা শুধু নিরাপত্তা পরিস্থিতি না, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments