Tailoring shop burnt to ashes in devastating fire: শনিবার ভোররাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার বিবেক ময়দানের সামনে এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে একটি টেলারিং দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত কুলপি থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী।প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শনিবার ভোররাতে স্থানীয় বাসিন্দারা দোকানের দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখতে পান। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে দোকানের সমস্ত সামগ্রী আগুনে ভস্মীভূত হয়।
ডায়মন্ডহারবার এবং কাকদ্বীপ থেকে দুটি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ততক্ষণে দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।প্রাথমিক তদন্তে দমকল এবং পুলিশের ধারণা, শর্ট সার্কিটের কারণে এই আগুন লেগেছে। দোকানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং ফ্যাব্রিকের মজুত থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।দোকানের মালিক জয়দীপ মণ্ডল জানান, “আমার দোকানে অনেক নতুন মেশিন এবং কাস্টমারের অর্ডার করা দামি কাপড় ছিল। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন কীভাবে ব্যবসা আবার শুরু করব, তা ভেবে পাচ্ছি না।”
এই ঘটনার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কিত। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রমেশ পাল বলেন, “এই ধরনের ঘটনা আমাদের সবার জন্য একটা শিক্ষা। আমরা দোকানের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে।”এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও স্থানীয় বাসিন্দারা দমকল এবং পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন। তারা জানান, দমকলের দ্রুত উপস্থিতি আরও বড় বিপর্যয় এড়াতে সাহায্য করেছে। বাসিন্দা অর্পিতা দাস বলেন, “আগুন এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে আমরা ভেবেছিলাম, আশপাশের দোকানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে দমকল কর্মীদের জন্যই তা হয়নি।”এই অগ্নিকাণ্ড কেবল দোকানের মালিকের নয়, স্থানীয় অর্থনীতির উপরও গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই দোকান থেকে বহু স্থানীয় মানুষ কাজের সুযোগ পেতেন এবং কাস্টমারদের জন্য এটি ছিল একটি নির্ভরযোগ্য ঠিকানা।
স্থানীয় প্রশাসন এবং ব্যবসায়ী সমিতি একসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব ঘোষ বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকের সাহায্যের জন্য একটি তহবিল গঠন করার পরিকল্পনা করছি। আশা করি, তিনি দ্রুত পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।”