Friday, April 11, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্যসুন্দরবন পুলিশের সাফল্য, ২৩৩টি মোবাইল ফেরৎ

সুন্দরবন পুলিশের সাফল্য, ২৩৩টি মোবাইল ফেরৎ

Sundarbans Police’s success, 233 mobile phones returned: সুন্দরবন পুলিশ জেলার উদ্যোগে হারিয়ে যাওয়া ২৩৩টি মোবাইল ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিকরা। সোমবার সুন্দরবন পুলিশের সুপার কোটেশ্বর রাও স্বয়ং উপস্থিত থেকে এই মোবাইলগুলো মালিকদের হাতে তুলে দেন। এই মোবাইলগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যারা বহুদিন ধরে তাদের হারানো মোবাইল ফিরে পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলোর ৮৫ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, আর বাকি ১৫ শতাংশ দেশের অন্যান্য রাজ্য, বিশেষ করে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লি থেকে ট্র্যাক করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত দেড় বছরে সুন্দরবন পুলিশ প্রায় এক হাজারেরও বেশি মোবাইল উদ্ধার করেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটিরও বেশি টাকা। পুলিশের মতে, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে, বিশেষ করে IMEI নম্বর ট্র্যাকিং এবং সাইবার সেলের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়, হারানো মোবাইলগুলি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

মোবাইল ফিরে পেয়ে একাধিক মানুষ পুলিশের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মোবাইল হাতে পেয়ে এক বাসিন্দা বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমার মোবাইল আর কখনও ফিরে পাব না। সুন্দরবন পুলিশের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক।” আরেকজন বলেন, “আমার ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। ফিরে পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি।”সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল ফোন হারানো এবং ছিনতাই একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় চুরি যাওয়া ফোনগুলি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়, আবার কিছু ফোন চোরাচালানের মাধ্যমেও রাজ্যের বাইরে পৌঁছে যায়। কিন্তু পুলিশের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এখন এইসব অপরাধ দমন করা অনেক সহজ হয়েছে। পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য সবসময় কাজ করে যাব। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান চলবে, যাতে আরও অনেক মানুষ তাদের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান ডিভাইস ফিরে পান।”

ezgif 4c73f7e8fc63b

তবে পুলিশের এই সাফল্য নতুন আলো ফেলেছে কিভাবে প্রযুক্তির সাহায্যে অপরাধ দমন করা যায়। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, “IMEI ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সমন্বয় ঘটলে চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা এখন অনেক সহজ। কিন্তু সাধারণ মানুষেরও আরও সচেতন হওয়া উচিত, যাতে এই ধরনের চুরি কম হয়।”এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সুন্দরবন পুলিশের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও ভরসা আরও বাড়িয়ে তুলবে। সাধারণ মানুষও চাইছেন, পুলিশের এই তৎপরতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকুক, যাতে আরও অনেকে তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র ফিরে পেতে পারেন। পুলিশের এই উদ্যোগ শুধু হারানো মোবাইল ফেরানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি মূলত অপরাধ দমন এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির দিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments