Sunday, June 1, 2025
Google search engine
Homeরাজনীতিঅন্যানো রাজনীতিসোশ্যাল মাধ্যমে আইসিকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ ছাত্রনেতার

সোশ্যাল মাধ্যমে আইসিকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ ছাত্রনেতার

Student leader attacks IC with obscene language on social media:বীরভূমের রাজনীতিতে আবারও চাঞ্চল্য—এইবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বিক্রমাজিত সাউ। সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভে তিনি আইসিকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় কটাক্ষ করেন এবং অভিযোগ তোলেন যে, আইসি লিটন হালদার বালি ও পাথর মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত ।

IMG 20230321 WA0002

তিনি আরও দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল অডিও ক্লিপটি সম্পাদিত এবং আইসি নিজেই তার স্ত্রীকে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্রমাজিত সাউয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও বিব্রত; দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিক্রমাজিত সাউয়ের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে আইসি লিটন হালদারের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে অনুব্রত মণ্ডল আইসিকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ । এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই না হলেও, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সতর্ক করা হয়েছে এবং তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন । এই সমস্ত ঘটনার ফলে বীরভূমের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে; বিজেপি, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে এবং বোলপুর থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

5e836ec58fc7dea56f0da94897fa0893

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং দাবি করেছেন যে, প্রশাসনের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দুর্নীতির অভিযোগে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ঘটনা দলের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।

এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতৃত্বের উচিত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে দলের শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। সামগ্রিকভাবে, এই ঘটনা বীরভূমের রাজনৈতিক পরিবেশে একটি নতুন মোড় এনে দিয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি আস্থা সংকট সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির উচিত পারস্পরিক দোষারোপ না করে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments