Stolen bike recovered in Gangasagar, two arrested:- গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ঢল যেমন বাড়ছে, তেমনই চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানা ও সুন্দরবন জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে একাধিক চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার জেটি ঘাটে একটি বড় ইভেন্ট চলাকালীন তিনটি বাইক চুরি হয়। বাইক মালিকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নামে। টানা নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের দল সাগরদ্বীপের সুমতি নগরে অভিযান চালিয়ে একাধিক চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি, এই ঘটনায় দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদেরকে কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয়েছে। তবে পুলিশের ধারণা, এই চুরির পেছনে বড় কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে এবং তদন্ত এখনও চলছে।

গঙ্গাসাগর মেলা ও তার আশপাশের এলাকা সবসময় পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ঠাসা থাকে। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন, যার ফলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কড়া থাকলেও কিছু অসাধু চক্র সুযোগ বুঝে চুরির মতো অপরাধ ঘটায়। পুলিশ জানিয়েছে, চুরি যাওয়া বাইকগুলো উদ্ধার করা হয়েছে এবং শীঘ্রই সেগুলো প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী কারা, তাদের ধরতে আরও তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত। একাধিক বাইক চুরি হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে চোরেরা সুসংগঠিত। অনেকেই দাবি করছেন, গঙ্গাসাগরে বাইক পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা উচিত। এক স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, “এখানে বাইক চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়, আগেও এমন হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।”

সুন্দরবন জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা সন্দেহভাজনদের জেরা করছি। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, চুরির সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন রয়েছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, গঙ্গাসাগর মেলা এবং আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, কড়া পুলিশি টহল এবং বাইক পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট আইন আনলে এই ধরনের অপরাধ রোধ করা সম্ভব হবে।
এখন প্রশ্ন একটাই—এই চক্রের পেছনে আসল মাথারা কে? গঙ্গাসাগরে পর্যটক ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের এই অভিযান কতটা সফল হবে, সেটাই দেখার বিষয়।