Tuesday, April 29, 2025
Google search engine
Homeটপ 10 নিউসদীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে বিশেষ পুজো কোচবিহারে

দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে বিশেষ পুজো কোচবিহারে

Special puja in Cooch Behar to mark inauguration of Jagannath temple in Digha:-আজকের দিনটা কোচবিহারের ইতিহাসে এক বিশেষ দিন হয়ে রইল, কারণ দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আনন্দে কোচবিহার শহরের মদনমোহন মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ পুজোর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দীঘায় তৈরি হয়েছে এক মনোরম জগন্নাথ মন্দির, যা রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, দীঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটি যাতে কুচবিহারের সাধারণ মানুষও বিশেষ অনুভূতির সঙ্গে উদযাপন করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই কোচবিহার জেলা প্রশাসন এবং কোচবিহার পৌরসভার পক্ষ থেকে মদনমোহন মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়, সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে জমতে শুরু করে ভক্তদের ভিড়, শঙ্খধ্বনি আর ঘণ্টার আওয়াজে চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে, বিশেষ করে পৌরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজে পুজোয় অংশগ্রহণ করেন এবং মদনমোহনের চরণে নিবেদন করেন শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা, তার সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং পৌরসভার কাউন্সিলররা, সকলের মুখে ছিল একটাই কথা – “দীঘার জগন্নাথ মন্দির আমাদের গর্ব, এই উদ্যোগ বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুনভাবে সামনে আনবে,

Screenshot202025 04 2920211059

” মন্দিরে ছিল ভক্তিমূলক গান, আবির-গোলাপ ছড়িয়ে এক উৎসবের আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল, শহরের সাধারণ মানুষ এই উদ্যোগে দারুণ খুশি, স্থানীয় বাসিন্দা গীতাঞ্জলি দাস বললেন, “মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেখে মনে হলো যেন আমরা নিজেরাই দীঘার অনুষ্ঠানের অংশ হয়েছি,” অনেকেই মন্দিরে এসে পরিবারের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নতুন পোশাক পরে আনন্দে মাতোয়ারা ছিল, মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, এই পুজোর জন্য বিশেষভাবে ১০০ কেজি ফুল এবং প্রায় ৫০ লিটার দুধ ব্যবহার করা হয়েছে মহাপ্রসাদ তৈরিতে, মদনমোহন দেবের উদ্দেশ্যে বিশেষ পূজার্চনা, পুষ্পাঞ্জলি এবং প্রসাদ বিতরণের আয়োজন ছিল, প্রসাদ হিসেবে ছিল খিচুড়ি, সবজি, পায়েস ও মিষ্টি, উল্লেখযোগ্যভাবে, দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,

“দীঘা শুধু সমুদ্র নয়, এখন থেকে দীঘা হবে সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্রও,” এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, কোচবিহারে বিশেষ পুজোর পাশাপাশি বড় স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যাতে মানুষ দীঘার মূল উদ্বোধন অনুষ্ঠানও দেখতে পারে, এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, শিক্ষাবিদ দেবাশীষ সরকার বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগে মানুষের মনে ধর্মীয় আবেগের সাথে সাথে সামাজিক সংহতি বাড়ে,” সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শহরের ব্যবসায়ী মহলেও ছিল ব্যাপক উৎসাহ, কারণ তারা মনে করছেন, দীঘার পর্যটন বৃদ্ধি পেলে, সার্বিকভাবে গোটা রাজ্যের পর্যটন অর্থনীতিরও উন্নতি হবে, আর সেই সুফল পড়বে প্রত্যন্ত জেলা পর্যন্ত, বিশেষ করে এই ধরনের বড় প্রকল্পের সাথে সাংস্কৃতিক আবেগ যুক্ত হলে মানুষের যোগসূত্র আরও মজবুত হয়, আজকের এই পুজোয় চোখে পড়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উচ্ছ্বাস, তরুণ-তরুণীদের সেলফি তুলতে,

Screenshot%202025 04 29%20211133.jpg?X Amz Algorithm=AWS4 HMAC SHA256&X Amz Content Sha256=UNSIGNED PAYLOAD&X Amz Credential=cloudconvert production%2F20250429%2Ffra%2Fs3%2Faws4 request&X Amz Date=20250429T155637Z&X Amz Expires=86400&X Amz Signature=7f4f09ce0980f720388d27c4c192b1c33260d8ec7bb917fc2453cc019b06b9b0&X Amz SignedHeaders=host&response content disposition=inline%3B%20filename%3D%22Screenshot%202025 04 29%20211133

বয়স্কদের নীরব প্রার্থনা করতে, এবং সবার মধ্যে একটা অনুভূতি – বাংলা এগিয়ে চলেছে নিজের শিকড়কে আঁকড়ে ধরেই, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নজরদারি ছিল, কোচবিহার জেলা পুলিশের টহলদারি ছিল মন্দির চত্বরে, পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রসাদ বিতরণ করা হয়, সামগ্রিকভাবে, কোচবিহারের এই বিশেষ পুজো আর দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন – দুই মিলিয়ে এক অপরূপ আবেগের সৃষ্টি করল রাজ্যবাসীর মনে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির আগামী দিনে আন্তর্জাতিক পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করবে এবং এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তাই আজকের দিনটি শুধুমাত্র একটি মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান নয়, বরং এটা বাংলার সংস্কৃতি, ভক্তি আর উন্নয়নের এক মিলিত উৎসবের দিন হয়ে রইল।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments