Shatabdi Roy Inaugurates Durga Puja: মহালয়ার শুভ লগ্নে, যখন পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে এবং দেবীপক্ষের সূচনা হয়, সেই সময়ে দুবরাজপুরের হৃদয়ে অবস্থিত রঞ্জনবাজার সার্ব্বজনীন রাজরাজেশ্বরী দুর্গা মন্দিরের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন বীরভূমের প্রাণের সাংসদ শতাব্দী রায়। এ বছর পুজোর ১৭ তম বর্ষে পদার্পণ করলেন তাঁরা, যেখানে স্থানীয় এবং আশপাশের অঞ্চলের মানুষ একত্রিত হয়েছেন এই মহোৎসবে। শতাব্দী রায়ের সঙ্গে তাঁর স্বামী মৃগাঙ্ক ব্যানার্জি, এবং অন্যান্য জেলা এবং পৌর রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠান দুবরাজপুর সহ সারা বীরভূম জেলার জন্য এক বিশেষ দিন হিসেবে পরিগণিত হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে শতাব্দী রায় ফিতে কেটে এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে পুজোর শুভ সূচনা করেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি পুজোর প্রার্থনা ও আশীর্বাদের কথা বলেন, যাতে প্রত্যেকে ভালো থাকে এবং সারা বছরের দুঃখ-দুর্দশা মা দূর করে দেন। এই উৎসবে মানুষের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যাশা করা হয়। তিনি আরও বলেন, যেন বৃষ্টি না হয়ে পুজোর আনন্দ কোনওভাবেই ক্ষুণ্ন না হয়।
দুবরাজপুরের পৌরসভা এবং স্থানীয় শাসকদল পুজোর এই ব্যাপক আয়োজনে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছে। এবারের প্রতিমা কুমারটুলির হাতে তৈরি এবং চন্দন নগরের বিখ্যাত আলোকসজ্জা পুজো মণ্ডপকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। এই পুজো স্থানীয় অর্থনীতিতেও বিশেষ প্রভাব ফেলেছে, কারণ অনেক দোকানদার, শিল্পী, এবং অস্থায়ী কর্মী এই পুজোকে কেন্দ্র করে তাদের আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়াও, পুজোর সময় পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় স্থানীয় হোটেল এবং রেস্তোরাঁ ব্যবসায় উন্নতি হয়।
শতাব্দী রায়ের এই উপস্থিতি নিঃসন্দেহে স্থানীয় রাজনীতিতে এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক বড় ধরনের প্রভাব রাখছে। তাঁর এই সক্রিয় ভূমিকা স্থানীয় জনগণের মধ্যে এক আশার সঞ্চার করেছে যে তাদের প্রতিনিধি তাদের সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশে আছেন এবং তাদের আনন্দে শামিল হচ্ছেন। স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য এটি একটি গর্বের বিষয় যে তাদের পুজো এখন রাজনৈতিক মহলের সমর্থন পাচ্ছে, যা তাদের ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি পুজোর আয়োজনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।