‘Shashurbari Zindabad’ released on the big screen after 25 years:২৫ বছর আগে, ২০০০ সালে, বাংলা সিনেমার জগতে এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জুটি, রঞ্জিত মল্লিক, অনামিকা সাহা, অনুরাধা রায়, টোটা রায়চৌধুরীর মতো গুণী শিল্পীদের অভিনয়, এবং ‘চোখ তুলে দেখো না’ গানের সুরে ভরপুর এই কমেডি-রোমান্টিক ছবি তৎকালীন সময়ে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। ছবিটি ১৬ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রেক্ষাগৃহে চলেছিল এবং প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা আয় করেছিল, যা সেই সময়ের জন্য একটি বিরল সাফল্য ছিল । এছাড়াও, ছবির গান ‘চোখ তুলে দেখো না’ আজও বাঙালি বিয়ে বাড়ির অ্যান্থেম হয়ে উঠেছে ।

এবার, ২৫ বছর পর, ২০২৫ সালের ৩০ মে, জামাইষষ্ঠীর প্রাক্কালে, এসভিএফ-এর প্রযোজনায় ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ আবারও বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে । এই পুনর্মুক্তি উপলক্ষে, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ শুধু একটা সিনেমা নয়, তার থেকে অনেক অনেক বেশি কিছু। বাংলা কমার্শিয়াল ছবির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই সিনেমা। ২৫ বছর পরে এই ছবিটা থিয়েটারে ফিরছে এটা ভেবেই যেমন রোমাঞ্চিত হচ্ছি, তেমন আবেগপ্রবণও হচ্ছি। আমার আর ঋতুপর্ণার বড়পর্দার জুটিকে সেরা করে তুলেছে এই ছবি। আশা করছি এই প্রজন্মের সবাই ও এই জুটির ম্যাজিকটা বড়পর্দায় উপলদ্ধি করতে পারবে” । ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “এই সিনেমাটা আমার জীবন বদলে দিয়েছিল। এই ছবিটার পরে যে ভালবাসা পেয়েছিলাম আর দর্শকদের সঙ্গে যে যোগসূত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল তা ভোলবার নয়। আবার বড়পর্দায় ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ দেখা মানে বাংলা সিনেমার একটা রঙিন অধ্যায়কে ফিরে দেখা”
এই পুনর্মুক্তি শুধুমাত্র একটি সিনেমার ফিরে আসা নয়, এটি একটি সময়ের, একটি সংস্কৃতির, একটি অনুভূতির ফিরে আসা। নতুন প্রজন্মের দর্শকরা এই ছবির মাধ্যমে ২০০০ সালের বাংলা সিনেমার স্বাদ নিতে পারবেন, আর পুরনো দর্শকরা ফিরে যেতে পারবেন তাঁদের স্মৃতির অ্যালবামে। এই ছবির রিমেক হলে প্রসেনজিৎ চান অঙ্কুশ হাজরা তাঁর চরিত্রে অভিনয় করুন, আর ঋতুপর্ণা চান দর্শনা বনিক বা ইধিকা পাল তাঁর চরিত্রে অভিনয় করুন
‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ এর এই পুনর্মুক্তি প্রমাণ করে যে ভালো সিনেমা কখনও পুরনো হয় না; বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার মূল্য আরও বাড়ে। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা সিনেমা আবারও একটি সোনালি অধ্যায়ে প্রবেশ করল, যেখানে পুরনো ও নতুন প্রজন্ম একসঙ্গে সিনেমার জাদু উপভোগ করতে পারবে।