Severe heat forecast in spring, temperatures will rise:বসন্ত মানেই বাঙালির কাছে রঙিন উৎসবের ঋতু, হালকা ঠাণ্ডার সঙ্গে মৃদু উষ্ণতার মিশেল! কিন্তু এবার বসন্ত যেন অন্য রূপ ধারণ করতে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই বছর বসন্তে স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকবে, যার ফলে গরমের তীব্রতা আগেভাগেই অনুভূত হতে পারে। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে, যা সাধারণত বসন্তের সময়ে দেখা যায় না। আগামী কয়েক সপ্তাহে এই গরম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম হলেও, আগামী দিনগুলিতে পারদ আরও চড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি কম। এখন থেকেই শহরের তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।আবহাওয়া দপ্তরের মতে, দক্ষিণবঙ্গের গরম আরও বাড়বে।
কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং বীরভূম অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। তবে, উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক থাকবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং ও কোচবিহারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাপমাত্রা কিছুটা কম রাখতে সাহায্য করবে।একজন আবহাওয়াবিদ বলেন, “বসন্তের শুরুতেই তাপমাত্রা এইভাবে বেড়ে গেলে, গ্রীষ্মের সময় আরও ভয়াবহ গরম পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমের ফলে স্বাস্থ্যের উপর নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, লো প্রেসার, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব— এসব সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।একজন চিকিৎসক বলেন, “বাইরে বের হলে অবশ্যই জল পান করা উচিত এবং শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার ব্যবস্থা করা উচিত, না হলে গরমজনিত অসুস্থতা হতে পারে।”

গরমের কারণে চাষবাসের উপরও প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের কৃষকদের জন্য এটি চিন্তার বিষয়। চাষিরা বলছেন, “এখন থেকেই যদি এত গরম পড়ে, তাহলে গ্রীষ্মে বৃষ্টি না হলে ফসলের ক্ষতি হবে।”বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনই এই অস্বাভাবিক গরমের অন্যতম কারণ। বৃক্ষনিধন, দূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং মিলিয়ে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতে পারে।সন্তে এত গরম পড়তে শুরু করলে গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ কেমন হবে, তা ভাবলেই আতঙ্ক হয়! তাই এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নিজেদের সুস্থ রাখুন, গাছ লাগান, প্রকৃতিকে রক্ষা করুন, আর গরমের হাত থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচান!