Risabh pant and Ishan kishan: জাতীয় দলের তিন ফর্ম্যাটে ফিরতে চান ঈশান কিষান। তিনি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মনের অবস্থা শেয়ার করেন এবং জানান, ‘ঋষভ পন্থের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিনি প্রস্তুত’। গত কয়েক মাস ধরে জাতীয় দলে জায়গা না পাওয়ার কারণে ঈশান কিষান চরম হতাশায় ছিলেন। ওডিআই বিশ্বকাপের পর থেকে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। প্রথমে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া, তারপর কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ, ঈশান কিষানের জন্য এটি এক কঠিন সময় ছিল।
ঈশান কিষান তাঁর মনের কথা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার সমস্যাগুলি কেউ বোঝেনি। ছুটি নেওয়াতে সমস্যা হয়েছে। BCCI-এর অবস্থান নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে।’ তবে এবার তিনি নিজেকে নতুন করে তৈরি করে নিয়েছেন। তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য হলো তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে ফিরতে।
ঈশান কিষান জানেন, তিন ফর্ম্যাটে ফিরতে গেলে তাঁকে ঋষভ পন্থের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দুর্ঘটনার পর পন্থের যে কামব্যাক, তা ঈশানের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পন্থ এখন তিন ফর্ম্যাটের অধিনায়ক এবং তাঁর পারফরম্যান্সের জন্য বাকিদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছেন।

ঈশান কিষান বলেন, ‘ঋষভকে খেলায় দেখতে পাওয়া খুশির। যতক্ষণ ক্রিকেট চলছে, ততক্ষণ সব কোয়ালিটির ক্রিকেটারের সঙ্গে লড়তে ভালো লাগে। এটি খেলায় উন্নতি করে। যখন মনে হয় এটা আমি অর্জন করেছি, তখন সেটা সহজ হয় না। আমি এটাকে উপভোগ করি, চাপ নিই না।’
ঈশান কিষান মাত্র দুটি টেস্ট খেলেছেন এবং করেছেন ৭৮ রান। একটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর রেকর্ড ভালো। তিনি ২৭টি ওডিআই খেলে ৯৩৩ রান করেছেন, যেখানে একটি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। টি২০ তে তিনি ৩২টি ম্যাচে ৭৯৬ রান করেছেন এবং ছয়টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে তিনি জাতীয় দলের অংশ নন। তবে তিনি জিম্বাবোয়ে সিরিজে সুযোগ না পেলেও শ্রীলঙ্কা সিরিজে সুযোগের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে তিন ফর্ম্যাটেই দেখতে চাই। আমি টি২০, ওডিআই ও টেস্টে ভালো পারফর্ম করেছি এবং আমি খেলতে চাই।’
ঈশান কিষানের বক্তব্য তাঁর সমর্থকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। সমর্থকরা তাঁকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করলে তিনি জাতীয় দলে ফিরে আসতে পারেন। ঈশান কিষান তাঁর লক্ষ্যে অবিচল এবং তিনি তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন জাতীয় দলে ফেরার জন্য।
এই চ্যালেঞ্জ শুধু ঈশানের নয়, এটি সকল তরুণ ক্রিকেটারের জন্য একটি প্রেরণা। যারা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাঁদের জন্য ঈশানের এই বক্তব্য একটি উদাহরণ হতে পারে। কঠিন সময়েও নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হওয়া এবং সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, এটি ঈশান কিষানের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারের কাছে একটি বড় শিক্ষা।
ঈশান কিষানের এই মনোভাব তাঁকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং জাতীয় দলে তাঁর পুনরাবৃত্তি দেখতে পাবে সকলে। আশা করা যায়, ঈশান কিষান তাঁর লক্ষ্যে সফল হবেন এবং তিন ফর্ম্যাটেই তাঁর পারফরম্যান্স দিয়ে সকলকে মুগ্ধ করবেন।