Rinku-Abhishek’s explosive batting dusted Zimbabwe: বিশ্বকাপ জয়ের পর টিম ইন্ডিয়ার মোমেন্টাম জিম্বাবোয়ের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের ফলে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু সেই হারের ক্ষত মেটানোর জন্য শুভমান গিলের তরুণ তুর্কিরা দ্বিতীয় ম্যাচেই হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং প্রত্যাশিতভাবেই দুর্দান্ত জয় নিয়ে ফিরে আসে। ২৪ ঘন্টা আগের হারের জ্বালা জুড়িয়ে ভারতের দ্বিতীয় জয় এল ১০০ রানে। অভিষেক ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর অভিষেক শর্মা ছক্কায় ছক্কায় তাণ্ডব চালালেন। এরপর রিঙ্কু সিংয়ের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে ২৩৪ রান তুলে দেয় মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। সেই রান চেজ করতে নেমে জিম্বাবোয়ে অলআউট হয়ে যায় ১৩৪ রানে।
প্রথম ম্যাচের হারের পর ভারতীয় দলের মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল। আর সেই আগুনেই পুড়ে ছারখার হল জিম্বাবোয়ে। অভিষেক শর্মার (৪৭ বলে ১০০) বিস্ফোরক শতরান এবং রিঙ্কু সিংয়ের ২২ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের ওপর ভর করে ভারত তুলে দেয় ২৩৪ রানের বিশাল স্কোর। এছাড়াও রুতুরাজ গায়কোয়াড ৪৭ বলে ৭৭ রান করে অভিষেক শর্মার সঙ্গে ১৩৭ রানের বিধ্বংসী পার্টনারশিপ উপহার দেন। শুভমান গিল দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান, কিন্তু এরপর ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আর কোনো সুযোগ দেয়নি জিম্বাবোয়ের বোলারদের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ব্রায়ান বেনেট অভিষেক শর্মার ওপর চড়াও হয়ে প্রথম ওভারে ১৯ রান তুলে নেন, কিন্তু মুকেশ কুমার তৃতীয় ওভারেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন। এরপর আবেশ খান আক্রমণে এসে চতুর্থ ওভারেই ডিওন মায়ার্স এবং ক্যাপ্টেন সিকান্দার রাজাকে পরপর আউট করে জিম্বাবোয়ের মিডল অর্ডার তছনছ করে দেন। রবি বিশ্নোই এবং মুকেশ কুমারও দুর্দান্ত বোলিং করে জিম্বাবোয়ের ব্যাটসম্যানদের কুপোকাত করেন। বিশ্নোই ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট এবং মুকেশ কুমার ৩ উইকেট নেন।
এই জয়ে ভারতের তরুণ ক্রিকেটাররা তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন। অভিষেক শর্মা ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বলেন, “প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর কিছুটা চাপে ছিলাম। কিন্তু আজ মাঠে নেমে নিজের খেলাটা উপভোগ করেছি। টিম ম্যানেজমেন্টের সমর্থন পেয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।”
রিঙ্কু সিংও তাঁর ইনিংস নিয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “দলকে জেতানোর জন্য আমি সবসময়ই প্রস্তুত। আজকের ইনিংসটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি আমার সেরা খেলাটা খেলতে পেরেছি, তাই খুবই খুশি।”

এই জয়ের পর ভারতীয় দলের মনোবল অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। পরবর্তী ম্যাচগুলিতে তারা আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে। এছাড়াও, এই জয়ের ফলে দলের তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ দিতে পেরেছে, যা দলের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জিম্বাবোয়ের এই হার তাদের দলের মনোবলে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে তারা যদি নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে, তাহলে তারা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
স্থানীয় সমর্থকদের জন্য এই জয়টি অত্যন্ত আনন্দের। এক স্থানীয় সমর্থক বলেন, “ভারতীয় দলের এই জয় আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা আশা করছি, তারা ভবিষ্যতেও এমনই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবে।”
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই জয় আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছে। আমরা আশা করছি, তারা ভবিষ্যতেও এমনই পারফরম্যান্স করবে।”
এই জয়টি ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। তারা যদি এভাবে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলে যেতে পারে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে আরও অনেক সাফল্য অর্জন করবে।