Reward for catching fake voters! Trinamool leader in controversy: শিলিগুড়িতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূয়ো ভোটার নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন। তিনি দলের নেতা-মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন বুথ ধরে ধরে ভোটার কার্ড খতিয়ে দেখতে এবং ভূয়ো ভোটারদের শনাক্ত করতে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন, যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে। তিনি এক কর্মীসভায় বলেন, “যে যত বেশি ভূয়ো ভোটার খুঁজে বের করতে পারবে, তার জন্য থাকছে পুরষ্কার।” তবে পুরষ্কার কী, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। কিন্তু এই মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, বিরোধীরা একযোগে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই ভোটার তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানটান উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। বিজেপি ও সিপিএমের তরফ থেকে অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস নিজের স্বার্থেই ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখছে এবং নিজেদের অনুকূলে পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, “এটা কি ভূয়ো ভোটার ধরার নামে নতুন দুর্নীতির ফাঁদ? পুরস্কার দিয়ে কি এবার নতুন কৌশলে ভোটারদের প্রভাবিত করা হবে?”সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “ভোট লুঠ করা তৃণমূলের পুরনো অভ্যাস। এবার ভূয়ো ভোটার চিহ্নিত করার নামে নতুন খেলা শুরু হয়েছে।
তবে এটা মানুষ বুঝতে পারছে, আর এসব চালবাজি চলবে না।”দিকে, শিলিগুড়ির সাধারণ মানুষ বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ভোটার তালিকা থেকে ভূয়ো ভোটার বাদ দেওয়া ভালো উদ্যোগ। তবে এটি যদি রাজনৈতিক স্বার্থে হয়, তাহলে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “সত্যিই যদি ভূয়ো ভোটারদের খুঁজে বের করা হয়, তাহলে ভালো। কিন্তু যদি কোনো নির্দিষ্ট দলের লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়, তাহলে সেটা অন্যায়।”ভারতে ভূয়ো ভোটারদের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তির একাধিক ভোটার কার্ড রয়েছে, আবার কোথাও মৃত ব্যক্তির নামে ভোট পড়ে। এই ধরনের ভোটাররা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করে তোলে। ভোটার তালিকা পরিশোধন করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তা করতে হবে স্বচ্ছ উপায়ে, কোনো দলীয় স্বার্থে নয়।বিতর্কের মাঝে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ দাবি করছে, পাপিয়া ঘোষের বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা চাই সঠিক ভোটাররা ভোট দিন, ভূয়ো ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ যেন না থাকে। সেই কারণেই এই উদ্যোগ।” তবে বিরোধীরা এই যুক্তি মানতে নারাজ।