\
Retired teacher giving saplings to students at farewell time:আজ বিদায় বেলায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাঁর পড়ুয়াদের চারাগাছ উপহার দিয়েছেন। এটি শুধু একটি বিদায়ের মুহূর্ত নয়, একটি নতুন জীবনের সূচনা। শিক্ষক মশাইয়ের নাম অনুপম বিশ্বাস, যিনি বিগত ৩৫ বছর ধরে স্থানীয় বিদ্যালয়ে পাঠদান করেছেন। তাঁর এই উদ্যোগ শুধুমাত্র বিদায়ের দিনকেই বিশেষ করে তোলেনি, বরং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করেছে।

অনুপম বিশ্বাস বললেন, “এটি শুধু একটি গাছ নয়, একটি জীবনের সূচনা। আমি চাই আমার ছাত্রছাত্রীরা গাছের প্রতি ভালোবাসা এবং যত্ন নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলুক। একটি গাছ মানে শুধুমাত্র একটি গাছ নয়, এটি আমাদের জীবন রক্ষা করে, পরিবেশকে শুদ্ধ রাখে।”
ছাত্রছাত্রীরা এই উপহার পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শোভন বলল, “শিক্ষক মশাইয়ের দেওয়া চারাগাছটি আমি আমার বাড়ির সামনে লাগাবো। প্রতিদিন গাছটিকে পানি দেবো এবং দেখাশোনা করবো।” ছাত্রীরা বলল, “আমরা খুব খুশি। এই উপহার আমাদের জন্য অনেক মূল্যবান। আমরা এই গাছগুলি যত্ন সহকারে বড় করবো।”
শিক্ষক মশাইয়ের এই উদ্যোগটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মধুমিতা সেনগুপ্ত বলেন, “অনুপম স্যার আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব। তাঁর এই উদ্যোগ আমাদের বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুরক্ষার প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করেছে। আমরা সকলেই গর্বিত তাঁর এই কাজে।”
স্থানীয় সমাজকর্মী কৌশিক দত্তও এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “শিক্ষক মশাইয়ের এই কাজটি শুধু তাঁর পড়ুয়াদেরই নয়, সমগ্র সমাজের জন্য এক উদাহরণ। এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের সকলকে আরও সচেতন করে তোলে পরিবেশের প্রতি।”
এই ধরনের কার্যক্রমের প্রভাব শুধুমাত্র বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে। এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা গাছের প্রতি আরও যত্নশীল হবে এবং পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হবে।
ভবিষ্যতে এই ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, “এই ধরনের উদ্যোগগুলি আমাদের সমাজকে আরও সবুজ করে তুলবে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করবে।”

এই কাজের মাধ্যমে শিক্ষক অনুপম বিশ্বাস একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর এই ছোট্ট উদ্যোগটি সমাজে বড় প্রভাব ফেলেছে এবং আমরা আশা করছি যে অন্যান্য শিক্ষক এবং সমাজের অন্যান্য মানুষও এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।