RBI reduces repo rate, EMIs of loans for the middle class will decrease!:রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই হঠাৎ করেই এক সুখবর এনে দিল দেশের লক্ষ লক্ষ মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য, কারণ তারা তাদের রেপো রেট ০.২৫ শতাংশ কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়েছে, আর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতেই যেন সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে, কারণ রোজগার বাড়েনি ঠিকই, কিন্তু ঋণের কিস্তির বোঝাটা এবার কিছুটা হলেও হালকা হতে চলেছে, বিশেষ করে যারা গৃহঋণ, গাড়ির ঋণ বা ব্যক্তিগত ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের জন্য এই রেপো রেট কমার ঘটনা একেবারে আশীর্বাদের মতো, কারণ এর ফলে EMI বা মাসিক কিস্তি কমে যাবে, আর এই খবরে যেমন খুশি ঋণগ্রহীতারা, তেমনই কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠেছে রিয়েল এস্টেট ও অবকাঠামো খাতও, কারণ যখন সুদের হার কমে, তখন ঋণ নেওয়ার প্রবণতাও বাড়ে, আর তার ফলে নতুন বাড়ি কেনা বা ব্যবসায়িক প্রসারে নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়, আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করার সময় বলেন, “আমরা দেশের সাধারণ মানুষের ওপর থেকে আর্থিক চাপ কমাতে চাই, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতি দুইয়েরই ঝুঁকি রয়েছে,” উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার রেপো রেট কমানো হয়েছিল, আর এবারে দ্বিতীয়বার এই উদ্যোগ নেওয়া হলো, যার প্রভাব সরাসরি দেশের আর্থিক বাজার এবং জনজীবনে পড়বে, এখন যদি সহজ ভাষায় বলি, রেপো রেট হল সেই হার, যে হারে আরবিআই দেশের অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয়, অর্থাৎ রেপো রেট বাড়লে ব্যাঙ্কগুলো বেশি সুদে টাকা নেয়, তাই তারা আমাদেরকেও বেশি সুদে ঋণ দেয়, কিন্তু রেপো রেট কমলে ব্যাঙ্কের উপর চাপ কমে, আর তারা কম সুদে ঋণ দিতে পারে, আর এই কারণেই EMI কমে যায়, মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য এটি বড় স্বস্তির বিষয়,
কারণ গৃহঋণের EMI এখনো বহু পরিবার মাসের বড় একটা অংশ নিয়ে নেয়, কলকাতার এক সাধারণ চাকরিজীবী, সল্টলেকে বসবাসকারী বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তী বললেন, “আমার বাড়ির EMI প্রতি মাসে ৩২ হাজার টাকা হয়, যদি এই সিদ্ধান্তে সেটা অন্তত হাজার দেড়েক কমে, তাহলে মাসের শেষে কিছুটা নিঃশ্বাস নেওয়া যাবে,” আবার রায়গঞ্জের একটি ছোটো ব্যবসার মালিক শিবশঙ্কর দত্ত বললেন, “ব্যবসার জন্য আমি একটা গাড়ি কিনেছি ব্যাংক ঋণে, EMI আর জ্বালানির খরচ মিলিয়ে মানসিক চাপ ছিল, রেপো রেট কমলে যদি EMI কমে, তাহলে নতুন একটা গাড়িও কেনার কথা ভাবতে পারব,” তবে RBI এই সিদ্ধান্ত নিলেও গোটা দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে কিছুটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের চাপের ফলে ভারতের আমদানির খরচ বাড়তে পারে, এবং এর ফলে বাজারে পণ্যের দাম বাড়তে পারে, বিশেষ করে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্য এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীতে তার প্রভাব পড়তে পারে, তবে এই মুহূর্তে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে রেপো রেট কমা অনেকটাই স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে, বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত রিয়েল এস্টেট সেক্টরকে বাড়তি অক্সিজেন দিতে পারে, কারণ সুদ কমলে বাড়ি কেনা অনেকের সাধ্যের মধ্যে চলে আসে,

বিশেষ করে ছোট শহর ও মফস্বলের মানুষেরা অনেক সময়েই EMI-এর চাপের কারণে বাড়ি কেনা থেকে পিছিয়ে যান, আবার অবকাঠামো খাতেও কিছুটা গতি আসবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা, তবে এই রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাঙ্কগুলোর উপর কিছুটা চাপ বাড়বে, কারণ তাদের লাভের পরিমাণ কিছুটা কমবে, বিশেষ করে ছোটো ব্যাঙ্ক ও NBFC-দের ক্ষেত্রে, আর এই কারণেই অনেকে বলছেন, যে RBI একদিক দিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিলেও, অন্যদিকে দেশের আর্থিক ভারসাম্য রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত কতটা টেকসই হবে তা ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে, এখনো অনেক ব্যাঙ্ক এই রেপো রেট কমার সুবিধা সরাসরি গ্রাহকদের দেয় না, তাই RBI ও সরকারের উচিত এই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো, যাতে ব্যাঙ্কগুলো সুদের হার কমিয়ে সত্যিকারের সুবিধা গ্রাহকদের দেয়, এই সিদ্ধান্তের পর সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, কেউ বলছেন “এবার EMI-এর পয়সা বাঁচিয়ে ছেলেকে কোচিং করাতে পারব”, আবার কেউ লিখেছেন “ধন্যবাদ RBI, অন্তত কিছুটা তো নিঃশ্বাস নিতে পারব”, তবে সবশেষে এটুকু বলাই যায়, রেপো রেট কমার সিদ্ধান্ত যতটা প্রভাব ফেলবে দেশের অর্থনীতিতে, তার থেকেও বেশি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর ক্ষেত্রে, আর তাই “খবর বাংলা”র পক্ষ থেকে আমরা বলতে পারি, অর্থনীতির বোঝা না বুঝেও আজ এই সিদ্ধান্তে দেশের লাখো মানুষ একটু হলেও আশার আলো দেখেছেন, আর এটিই এখনকার দিনে বড় প্রাপ্তি।