Raveena Tandon donated gold bangles! : সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক গণবিবাহ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। লাল সালোয়ার কামিজ ও হালকা মেকআপে সজ্জিত রবিনা তাঁর উজ্জ্বল হাসি দিয়ে অনুষ্ঠানে সবাইকে মুগ্ধ করেন। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল তাঁর উদারতা; তিনি নিজের বিয়ের সময় থেকে পরা সোনার বালার জোড়া এক নবদম্পতিকে উপহার হিসেবে প্রদান করেন। এই বালাগুলিতে তাঁর ও তাঁর স্বামীর নাম খোদাই করা ছিল এবং এটি শ্বশুরবাড়ি থেকে বিয়ের সময় উপহার পেয়েছিলেন। রবিনার এই মহৎ কাজের মুহূর্তটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও ভাইরাল হয়েছে।
বালাজোড়া উপহার দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা গেল তাঁকে। মাইক হাতে রবিনা জানালেন, “নবপরিণীতা স্ত্রীয়েরা ৪০ দিন হাতে চূড়া পরে থাকেন। আর আমি সেই বিয়ের দিন থেকে এই বালাজোড়া পরে রয়েছি। একটায় স্বামীর নাম লেখা, আরেকটায় আমার নাম। এই দুটো বালা আমি উপহার স্বরূপ দিলাম।” একথা বলেই সেই বসতির কনের হাতে হাসিমুখে বালা পরিয়ে দিলেন রবিনা। যে ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত দেখে অনুরাগীরা তাঁকে কুর্নিশ জানালেন। কেউ বা আবার তাঁর সিনেমার গান ধরেই করেই বললেন, ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত’। মানবিক রবিনা ট্যান্ডনের উদারতা দেখে ধন্য ধন্য করছেন সকলে।রবিনা ট্যান্ডন, যিনি ১৯৯১ সালে ‘পাত্থর কে ফুল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন, তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘মোহরা’, ‘দিলওয়ালে’, ‘খিলাড়িওঁ কা খিলাড়ি’ এবং ‘জিদ্দি’র মতো সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর এই উদারতা ও মানবিকতা সমাজের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার পরিচয় বহন করে। এছাড়া, ২০২৩ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেছেন, যা তাঁর দীর্ঘ এবং সফল ক্যারিয়ারে এক বিশেষ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই ঘটনার পর, স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে রবিনার এই উদারতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর এই কাজ সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বদের জন্য উদাহরণস্বরূপ। স্থানীয় সমাজকর্মী রমেশ গুপ্তা বলেন, “রবিনা ট্যান্ডনের এই উদারতা আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণার। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে একজন সেলিব্রিটি সমাজের কল্যাণে অবদান রাখতে পারেন।”সামাজিক মাধ্যমেও রবিনার এই কাজ প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর এই উদারতার প্রশংসা করে পোস্ট করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “রবিনা ট্যান্ডনের এই উদারতা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি আমাদের সকলের জন্য উদাহরণ।”
এই ঘটনার ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রবিনার এই উদারতা সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বদেরও সমাজের কল্যাণে অবদান রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে। এছাড়া, সাধারণ মানুষের মধ্যেও দানশীলতার মানসিকতা বৃদ্ধি পাবে। সামাজিক সংহতি ও সহমর্মিতা বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের উদারতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সর্বশেষে, রবিনা ট্যান্ডনের এই মহৎ কাজ আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর উদারতা ও মানবিকতা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরও অনেক সেলিব্রিটি ও সাধারণ মানুষ এই ধরনের মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করবেন এবং সমাজের কল্যাণে অবদান রাখবেন।