Rath Utsav of Roy Chowdhury family at Rasmath, Baruipur: 300 years of tradition and history: বারুইপুরের রাসমাঠে রায়চৌধুরী পরিবারের রথ উৎসবের ঐতিহ্য আজ তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। এই রথে প্রধানত জগন্নাথ, বলরাম, ও সুভদ্রার প্রিয় মিষ্টি থাকে, যাতে পাঁচ প্রকারের মিষ্টি সাজানো থাকে। এই মিষ্টান্ন পুজো দেওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসে যোগ দেন এবং এই উৎসবকে ঘিরে এক মাস ধরে মেলা বসে, যেখানে এই মিষ্টি বিক্রি হয়। এই বছর রবিবার রাসমাঠে উৎসবের সূচনা করেছেন রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্য ও পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী ও অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরী। অন্যদিকে, বারুইপুরের পদ্মপুকুর ইয়ুথ ক্লাবের রথ উৎসবও আট বছরে পা দিয়েছে, যেখানে উৎসবের সূচনা করেন যাদবপুর লোকসভার সাংসদ সায়নী ঘোষ ও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রথ যাত্রা পদ্মপুকুর থেকে কালীতলা মোড় হয়ে বিশালাক্ষীতলা মন্দিরে পৌঁছায়।
রথের পুজোর ডালায় থাকে শাঁখের আদলের সন্দেশ, পেঁড়া, ছাপা সন্দেশ, কালাকাঁদ, ও সাধারণ সন্দেশ। গঙ্গাসাগরের মেলায় এই ডালার মিষ্টি নিয়ে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেন ভক্তরা। লক্ষ্মীকান্তপুর, মথুরাপুর, রায়দিঘি, জয়নগর থেকে মানুষ আসেন এই মিষ্টি বিক্রি করতে। মিষ্টির দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা। জবা হালদার, মথুরাপুরের এক গৃহবধূ বলেন, “প্রতি বছর আমরা মিষ্টি নিয়ে আসি। জগন্নাথের পছন্দের এই ডালার মিষ্টি ভালোই বিক্রি হয়।” সমর নস্কর ও দিবাকর হালদার, দুই ব্যবসায়ী বলেন, “ডালায় পাঁচ প্রকারের মিষ্টির মধ্যে যে কেউ দুটি কিনতে পারেন। কেউ পুরো ডালা কিনে পুজো দেন।” অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরী যোগ করেন, “জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরী উৎসবের সূচনা করেছিলেন। তারপর থেকেই পুরনো নিয়ম মেনে রথ উৎসব পালন করা হয়।” এই রথ উৎসব এবং মেলা বারুইপুরের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক পরিচিতির এক অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ঐতিহাসিক উৎসব প্রতি বছর বিশাল সমাগম ও আনন্দের সৃষ্টি করে, যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করে।
