Raniganj patient death: রানীগঞ্জের মাড়োয়ারি হাসপাতালে প্রসূতি রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। শনিবার সকালে ৩৫ বছর বয়সী মামনি বাউরী নামে এক প্রসূতিকে রানীগঞ্জের মাড়োয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্গাপুরের গোপাল মাঠ এলাকার বাসিন্দা মামনি প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার।
মামনি বাউরীর মৃত্যুর পর বাউরী সমাজ শিক্ষা সমিতি এবং পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগ ওঠে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হওয়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বাউরী সমাজ শিক্ষা সমিতির ব্লক প্রেসিডেন্ট নিতাই বাউরী সরাসরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, “যথাযথ চিকিৎসা হলে মামনির জীবন বাঁচানো যেত। এই ধরনের গাফিলতি মেনে নেওয়া যায় না।”

এ ঘটনা এলাকাবাসীর মধ্যেও উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাউরী সমাজ শিক্ষা সমিতির নেতৃত্বে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। শতাধিক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। জাতীয় সড়কের উপর যানজট তৈরি হয়। অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এমন ঘটনা যদি আবারও ঘটে, তবে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। রানীগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “হাসপাতালের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা সঠিক এবং নিরাপদ চিকিৎসা চাই।”
রানীগঞ্জ শহরের হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে বারবার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা সেই সমস্যা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল। রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা এবং চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা রানীগঞ্জের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।