Rail blockade at Sealdah South Branch Station:আজ সকালে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার দক্ষিণ বারাসাত স্টেশনে এক অস্বাভাবিক দৃশ্যের সাক্ষী হলো কলকাতার রেলযাত্রীরা। নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, এবং শিয়ালদা আপ ও ডাউন ট্রেনগুলি আটকে পড়েছে যাত্রী বিক্ষোভের কারণে। সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, মহিলাদের কম্পার্টমেন্টের পাশে অতিরিক্ত মহিলা কম্পার্টমেন্ট দেওয়ায় জেনারেল কম্পার্টমেন্টের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা প্রচণ্ড ভিড়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না। এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় যাত্রীরা রেল অবরোধের পথে নামেন।
এই বিক্ষোভের ফলে দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। অফিসগামী মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই বিকল্প পরিবহনের খোঁজে রাস্তায় নেমেছেন, কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বাস ও অটোতেও জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় এক যাত্রী, মধুমিতা ঘোষ, বলেন, “প্রতিদিন এই ভিড়ে ট্রেনে উঠতে হয়। আজকে তো একেবারে উঠতেই পারলাম না। রেল কর্তৃপক্ষ যদি সাধারণ যাত্রীদের কথা না শোনে, তাহলে আমরা আর কী করব?”

রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত মহিলা কম্পার্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ যাত্রীদের সমস্যা বিবেচনা করে আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।”
এই বিক্ষোভের ফলে রেল চলাচল বন্ধ থাকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। অনেকেই অফিসে পৌঁছাতে পারেননি, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও সমস্যায় পড়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রেল অবরোধ কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। রেল কর্তৃপক্ষকে যাত্রীদের সমস্যার প্রতি আরও সংবেদনশীল হতে হবে।”
এই ঘটনার ফলে ভবিষ্যতে রেল কর্তৃপক্ষকে যাত্রীদের চাহিদা ও নিরাপত্তার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে আরও পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ কেউ যাত্রীদের বিক্ষোভকে সমর্থন করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত। সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে এবং রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।