Rabindra Jayanti celebrated at Visva-Bharati : ২৫ বৈশাখ, শান্তিনিকেতন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় কর্মভূমি। যেখানে তাঁর চিন্তা, চেতনা ও সৃষ্টির মহৎ ধারা আজও প্রবাহিত। অথচ, সেখানেই বিশ্বভারতীতে এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, নামেমাত্র পালন করা হয়েছে কবিগুরুর জন্মতিথি। অনুষ্ঠানসূচি তৈরি থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, প্রচণ্ড গরমের জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
বিশ্বভারতীর আশ্রমিকদের বক্তব্য, এই কারণটি ছিল কেবলমাত্র একটি অজুহাত।অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত হয় এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তী। অনুষ্ঠান শুরু হয় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-র ভাষণ দিয়ে। এরপর কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশিত হয়। আশ্রমিকদের মতে, এত বড় একটি অনুষ্ঠানে এতই সংক্ষিপ্ত আয়োজন সত্যিই দুঃখজনক। যে স্থানে প্রতি বছর রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন উপলক্ষে বসে বড়সড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য, গান, আবৃত্তি—সেই স্থানে এবার শুধুমাত্র কয়েকটি গান গেয়েই শেষ করা হয় অনুষ্ঠান।
বিশ্বভারতীর তরফে দাবি করা হয়েছে, এবারের গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে অনুষ্ঠানের বিশদ আয়োজন বাতিল করা হয়। তবে আশ্রমিকদের দাবি, এটা ছিল কেবলমাত্র অজুহাত। তাঁদের মতে, উপাচার্যের অনীহা এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণেই অনুষ্ঠানসূচি বাতিল করা হয়েছে।আশ্রমিকদের ক্ষোভ:
বিশ্বভারতীর এক প্রবীণ আশ্রমিক শুভেন্দু চক্রবর্তী জানালেন, “এই বছর রবীন্দ্রজয়ন্তীতে আমরা কিছুই পেলাম না। আমাদের কবিগুরুর জন্মদিনে গান, কবিতা, নাটক—সবকিছুই বাতিল করা হল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এমনকি, অনুষ্ঠানের জন্য যে পোস্টার তৈরি হয়েছিল, তাও কোনও প্রচার করা হয়নি।’’
আশ্রমিকদের আরও অভিযোগ, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে দিন দিন উপেক্ষা করা হচ্ছে। মঞ্চসজ্জা, আলোকসজ্জা—কিছুই ছিল না এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে। আর এতে আশ্রমিকদের ক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে।