Protests surround Food Minister demanding water:মধ্যমগ্রামের পাটুলি বাদামতলা এলাকায় গত আট দিন ধরে চলা পানীয় জলের সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তীব্র গরমে যখন মানুষের জল প্রয়োজন বেড়েছে, তখনই এলাকার পাম্প খারাপ হয়ে যাওয়ায় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পুরসভার তরফে কিছু জলবাহী গাড়ি পাঠানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুরসভার জল বিভাগের সদস্যকে ঘিরে রাখেন। পরে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ ঘটনাস্থলে এলে তাঁদেরও ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ শাহনুর বিশ্বাস বলেন, “পুরসভা এখানে জলের ব্যবস্থা করতে পারছে না।
খাওয়ার জল পর্যন্ত নেই। এই গ্রামে ৫০০-এর বেশি পরিবার রয়েছে। অথচ তিনটে মাত্র গাড়ি আসে। দুই থেকে তিন মিনিট জল থাকে। তারপর আর থাকে না। আমরা পুকুরের জল দিয়েই এখন সবকিছু করছি। এতে পুরো গ্রামবাসীর সমস্যা হচ্ছে।” খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ আশ্বাস দেন, “আমি খবর পাওয়া মাত্রই এখানে এসেছি। দেখছি কীভাবে দ্রুত এর সমাধান করা যায়।” পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ জানান, “এখানে আমাদের পাম্পটা বিকল হয়ে গিয়েছে। আমরা দ্রুততার সঙ্গে সেটা ঠিক করার চেষ্টা করছি।” পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ বাহিনী।
এলাকাবাসীর দাবি, রাতের মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এর আগে মধ্যমগ্রাম পুরসভা গরমের সময় দিনে চার বার করে জল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এই জল সংকটের ফলে জনস্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। স্থানীয়রা পুরসভার ওপর ক্ষুব্ধ এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। এই সংকটের সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনের সম্ভাবনা রয়েছে।