Oscar’s hand will wear the AFC League’s original East hint : শেষমেষ জয় ফিরলো লাল হলুদ শিবির। ইস্টবেঙ্গলের জন্য এ এক নতুন ভোর, এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ডুরান্ড কাপ ও আইএসএল-এ একের পর এক হারের পর, ক্লাবটির ফুটবল সমর্থকদের মাঝে হতাশা ছেয়ে গিয়েছিল। বহু বছর ধরে ভারতীয় ফুটবলের এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের দুর্দশার সাক্ষী থেকেছে তার ভক্তরা। কিন্তু অবশেষে, এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ইস্টবেঙ্গল দলের জয়, যেন রুদ্ধশ্বাস কাহিনীর মাঝখানে একটি চমক। কোচ অস্কার ব্রজোর নেতৃত্বে দলটি নিজেদের প্রমাণ করেছে এবং নেজামে এসসি-র বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছে। ইস্টবেঙ্গল এবার এশিয়ার মঞ্চে আরো এগিয়ে যাবার সুযোগ পেয়েছে, এবং এই সাফল্য শুধুমাত্র ক্লাবের নয়, পুরো ভারতীয় ফুটবলের জন্যও এক বিশেষ গর্বের মুহূর্ত।
.webp?format=webp&w=400&dpr=2.6)
ইস্টবেঙ্গলের এই সাফল্যের গল্পটা ঠিক যেন গল্পের মতোই। কোচ অস্কার ব্রজোর আগমন যেন ক্লাবের এক নতুন যুগের সূচনা। তার নিখুঁত কৌশল, খেলোয়াড়দের উপর আস্থা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দলটি এখন নতুন আলোয় উদ্ভাসিত। ক্লাবের মূল স্ট্রাইকার দ্বিমাত্রিক এই ম্যাচে দুটি অসাধারণ গোল করে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। তার খেলার প্রতিভা এবং আত্মবিশ্বাস ইস্টবেঙ্গল দলের জয়ের মূল চাবিকাঠি। পাশাপাশি দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রাও নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলেছেন।
ইস্টবেঙ্গলের এই জয় স্থানীয় ফুটবল সমর্থকদের মাঝে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। কলকাতার মানুষ ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগানের খেলার প্রতি প্রবল আগ্রহী, এবং প্রতিটি জয়ই তাদের আনন্দে ভরিয়ে তোলে। তবে শুধু কলকাতায় নয়, সারা ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের কাছেও এই জয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতীয় ফুটবল অনেক সময় আন্তর্জাতিক মানে প্রতিযোগিতা করতে পারেনি, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের এই জয় সেই ধারনাকে কিছুটা হলেও বদলে দিচ্ছে। ভারতের মতো দেশে যেখানে ক্রিকেট প্রধান খেলাধুলার ক্ষেত্র, সেখানে ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলের এই সাফল্য বিশেষভাবে অনুপ্রেরণামূলক।
এই জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গল দলটি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল পর্বে পৌঁছানোর সুযোগ পেয়েছে, যা সত্যিই এক অভূতপূর্ব কৃতিত্ব। কোচ অস্কার ব্রজোর নেতৃত্বে দলটি যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা প্রমাণ করে যে প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বড়ো সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। অস্কার ব্রজো নিজেই বলছেন, “এই জয় শুধুমাত্র আমার নয়, এটি খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল। আমি গর্বিত যে আমি তাদের সাথে থাকতে পেরেছি এবং এই যাত্রার অংশ হতে পেরেছি।”
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল পর্বে পৌঁছানোর এই সুযোগ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভবিষ্যতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শুধু আর্থিক দিক থেকেই নয়, বরং দলের মনোবল এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রেও এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই সাফল্য ভারতের অন্যান্য ক্লাবগুলোকেও প্রেরণা যোগাবে এবং ভারতীয় ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাবে। ইস্টবেঙ্গল দলের এই যাত্রা দেখে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রাও অনুপ্রাণিত হবে।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইস্টবেঙ্গলের এই অর্জনকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনন্দের জোয়ার দেখা যাচ্ছে। সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন, যেমন #EastBengalVictory, #OscarMagic, #AFCChallenge এবং #ProudIndianFootball। এই জয়কে ঘিরে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে, ঠিক তেমনি কোচ ও খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভরিয়ে তুলেছে সবাই।
যদিও ইস্টবেঙ্গলের সামনে আরও কঠিন পথ রয়েছে, তবে তাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে দিয়েছে যে লাল-হলুদ শিবির আবার জয়ের পথে ফিরেছে। ভবিষ্যতে দলটি আরও বড়ো সাফল্য অর্জন করতে পারে, এবং ভারতের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে আন্তর্জাতিক স্তরে। কোচ ব্রজোর নেতৃত্বে এবং খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ইস্টবেঙ্গল হয়তো ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম প্রিয় মুহূর্তগুলো তৈরি করবে।