On Jamai Sashti, trust in Myanmar’s Hilsa, Bengalis crave for its taste : জামাই ষষ্ঠী মানেই বাঙালির রসনার ভোজ, আর সেই ভোজে ইলিশ না থাকলে কি চলে! তবে এ বছর ষষ্ঠীর বাজারে ইলিশের জোগান কম, দাম অনেকটাই বেশি। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানিতে বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কলকাতার বাজারে ভরসা এখন মায়ানমারের ইলিশ। স্বাদ ও গুণমানের দিক দিয়ে কিছুটা কম হলেও, সেই ইলিশেই ভরসা রাখছেন ক্রেতারা। বর্তমানে ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মিলছে প্রতি কেজি প্রায় ১২০০ টাকায়, ১ কেজির উপরের ইলিশের দাম ছুঁয়েছে ১৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে কিছু বাংলাদেশি ইলিশ অবৈধভাবে বাজারে ঢুকছে বলেও খবর।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/06/Hilsa.jpg)
পশ্চিমবঙ্গে এখনই মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশীয় ইলিশের জোগানও সীমিত। তাই জামাই আদরে ‘ইলিশ উৎসব’ উদযাপনে এ বার দাম একটু বেশি গুনতে হতে পারে বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। মাছ ব্যবসায়ী প্রবীর হালদার বলেন, “বিক্রি মোটামুটি ভালো। এখনও পর্যন্ত খান দশেক মাছ বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এতদিন মার্কেটটা খারাপ ছিল, আজকে ইলিশ ঢুকে মার্কেটটাকে দাঁড় করিয়েছে।
আজ এই মাছ বেচার টাকা দিয়েই বউকে শাড়ি কিনে দেব।” ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ জানান, “প্রথম দিনের চালান হিসাবে প্রায় ৫০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ এসেছে। যেহেতু প্রথম চালান, স্বাভাবিকভাবেই বাঙালির আবেগের কারণে নিলামে দাম একটু হলেও বেশি। ১০০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ এলে দাম হয়তো কিছুটা কম হতো।” সব মিলিয়ে, এবারের জামাই ষষ্ঠীতে ইলিশের স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও, বাঙালির রসনার তৃপ্তিতে কোনো কমতি নেই। মায়ানমারের ইলিশ দিয়েই হোক বা অন্য কোনো মাছ দিয়ে, জামাইয়ের পাতে ভালোবাসার স্বাদই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
