Now you can make calls even in space:-
বিশ্ব এখন প্রযুক্তির এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে মহাকাশে বসেও যোগাযোগের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। একটি মার্কিন সংস্থা এমন একটি স্যাটেলাইট তৈরি করেছে যা ডাইরেক্ট কানেক্টিভিটি সার্ভিসের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনকে সরাসরি স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে দেবে। আর এই স্যাটেলাইটকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করবে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা ইসরো।প্রযুক্তিবিদদের মতে, এই উন্নত স্যাটেলাইট পরিষেবা ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক পরিষেবাকে টেক্কা দিতে পারে। যদিও স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে নিজস্ব টার্মিনাল ব্যবহার করে, নতুন এই পরিষেবায় কোনো ফিল্টার বা টার্মিনালের প্রয়োজন হবে না। এর ফলে, শুধুমাত্র একটি সাধারণ মোবাইল ফোন দিয়েই মহাকাশ থেকে নেট পরিষেবা উপভোগ করা যাবে।
এখন থেকে, মহাকাশে বসে কল করা কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করা আর স্বপ্ন নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও ডাউনলোড থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সবকিছুই অসম্ভব দ্রুত গতিতে করা সম্ভব হবে। ইসরো এবং মার্কিন সংস্থার এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশের দরজা খুলে দিয়েছে।একজন ইসরো বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, “আমরা এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত হতে পেরে গর্বিত। এটি শুধু ভারতের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য এক বিশাল অগ্রগতি। মহাকাশ বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে আসা আমাদের লক্ষ্য।”এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, পৃথিবীর যে কোনো জায়গায়, এমনকি দুর্গম এলাকায়ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। এছাড়াও, অসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি বিপ্লব আনতে পারে। সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে নেট কানেক্টিভিটি পাওয়ায় বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও নিরাপদ এবং উন্নত হবে।
মার্কিন সংস্থাটি কেন ইসরোকে বেছে নিল, সেটি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। বর্তমানে দুনিয়ার ৮টি শীর্ষ মহাকাশ সংস্থার মধ্যে ইসরো অন্যতম। ইসরোর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততা এই প্রকল্পে তাদের প্রধান ভূমিকা দিয়েছে।প্রযুক্তির এই বিপ্লব সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় কী প্রভাব ফেলতে পারে? এক স্থানীয় প্রযুক্তি বিশ্লেষক বলেছেন, “মহাকাশ থেকে সরাসরি নেট পরিষেবা পাওয়া মানে তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এটি দুনিয়াকে আরও সংযুক্ত করবে এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে নতুন সুযোগ তৈরি করবে।”এই সাফল্য ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল। ইসরোর এই পদক্ষেপ শুধু ভারতের গর্ব নয়, বরং বিশ্বজুড়ে মহাকাশ প্রযুক্তির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়।