On Saraswati Puja, the theme of ‘zero’ is the surprise of page 11 club.: রামনগরের পেজ ১১ ক্লাবের সরস্বতী পূজোয় এবার ‘শূন্য’ থিমে ধরা দিয়েছে এক নতুন ভাবনার ঝলক। পঞ্চদশ বর্ষে পদার্পণ করা এই ক্লাবের এবারের থিম, “শেষই শুরু, শূন্য থেকে শূন্যে ফিরে আসা।” খুঁটি পূজোর মধ্য দিয়ে সরস্বতী পূজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো রামনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবে।খুঁটি পূজোর এই শুভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক বারিক, এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবর্গ। ক্লাবের সদস্যরা জানান, পেজ ১১ শুধু একটি পূজো কমিটি নয়, এটি এক সম্প্রীতির প্রতীক। এবারের থিম ‘শূন্য’ প্রতীকী অর্থে জীবনের এক অনন্য বার্তা বহন করে—যা শুরু হয় শূন্য থেকে এবং আবার শূন্যেই ফিরে যায়।
থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে শূন্যের অন্তর্নিহিত অর্থ এবং তার সৃষ্টিশীল দিক। থাকবে কুমোরটুলির কারিগরদের তৈরি প্রতিমা এবং প্যান্ডেল সাজানো হবে এমনভাবে যাতে দর্শনার্থীরা শূন্যের গভীরতা অনুভব করতে পারেন। ক্লাবের থিম প্রতি বছরই দর্শনার্থীদের কাছে নতুন চমক নিয়ে আসে, এবং এইবারের থিমও তার ব্যতিক্রম নয়।রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপক সার বলেন, “বাংলা বরাবরই সম্প্রীতির ভূমি। এখানে আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বাস করি। পেজ ১১ ক্লাব এই ঐক্যের প্রতীক। তাদের উদ্যোগ আগামী প্রজন্মকে সম্প্রীতির বার্তা দেবে।”
ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, থিমের ভাবনা যেমন অভিনব, তেমনই থাকবে পরিবেশের প্রতি যত্ন। প্যান্ডেল এবং সাজসজ্জায় পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করা হবে। ক্লাবের সদস্যদের মতে, “আমাদের থিম শুধু চমক দেওয়ার জন্য নয়, এটি দর্শকদের মনের গভীরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ‘শূন্য’ আমাদের জীবনের এক গভীর দর্শন তুলে ধরবে।”এই পূজোর আয়োজন শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নয়, এটি পরিণত হয়েছে একটি বৃহত্তর মিলনক্ষেত্রে। পূজো দেখতে আসে আশপাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ। ক্লাবের সদস্যরা জানান, “আমাদের উদ্দেশ্য শুধু পূজো করা নয়, বরং এমন কিছু করা যাতে দর্শকরা ভাবতে বাধ্য হন।”

এছাড়াও, পূজোর সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সমাজসেবামূলক কাজ, এবং বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। রামনগরের মানুষের জন্য এটি শুধু একটি পূজো নয়, বরং এক মিলনক্ষেত্র, যা সম্প্রীতি এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটায়।পেজ ১১ ক্লাবের এই উদ্যোগ আবারও প্রমাণ করল যে ধর্মীয় উৎসব কেবল আচার-অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি বৃহত্তর সমাজকে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা দেওয়ার একটি মাধ্যম। এই পূজো শুধু রামনগরের মানুষের জন্য নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের একটি প্রতীক, যা বারবার নতুনত্বের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় জয় করে।