Mysterious death of couple in Memari son missing:পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত কাশিয়ারা মোড় কাজিপাড়া এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনার খবর এখন সারা রাজ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ৬৫ বছর বয়সী মোস্তাফিজুর রহমান এবং তাঁর ৫৫ বছর বয়সী স্ত্রী মমতাজ পারভীন তাঁদের নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় গলার নলি কাটা অবস্থায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তাঁদের একমাত্র ছেলে, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবীর, নিখোঁজ রয়েছেন, যা পুরো ঘটনার রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাফিজুর ও মমতাজ দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করতেন এবং তাঁদের একমাত্র ছেলে হুমায়ুন কবীর, যিনি পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের দিন রাতে প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দম্পতির দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনার পর থেকেই হুমায়ুন কবীর নিখোঁজ রয়েছেন, যা পুলিশ এবং স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হুমায়ুনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, তাঁর বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের সন্দেহ, হুমায়ুন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন অথবা তিনিও কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন। তাঁদের মতে, এই শান্তিপূর্ণ এলাকায় এমন একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড আগে কখনও ঘটেনি। একজন প্রতিবেশী বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি যে আমাদের এলাকায় এমন কিছু ঘটতে পারে। মোস্তাফিজুর এবং মমতাজ খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না।”
পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে বিভিন্ন দিক থেকে কাজ করছে। তাঁরা বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ, ফোন রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করছেন। এছাড়াও, হুমায়ুনের ব্যাংক লেনদেন এবং অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রমও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা সমস্ত সম্ভাব্য দিক থেকে তদন্ত করছি। হুমায়ুনের নিখোঁজ হওয়া এই ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব সত্য উদঘাটন করতে।”
এই ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজব এবং জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, হুমায়ুন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন, তিনি নিজেও কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার এবং তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে।
এই ঘটনার ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত এবং পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে, এটি জনগণের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থা হ্রাস করতে পারে।
এই ঘটনার পর থেকে আমরা, “খবর বাংলা” সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে, নিয়মিতভাবে এই ঘটনার আপডেট প্রদান করছি এবং আমাদের পাঠকদের সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, পুলিশ দ্রুত এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে।
এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আমাদের পাঠকদের তা জানিয়ে দেব। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের অনুসরণ করুন।