Musk catches SpaceX rocket ‘disease’: মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স দীর্ঘদিন ধরেই নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি তাদের অন্যতম উচ্চাভিলাষী প্রকল্প স্টারশিপ রকেটের নতুন পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। টেক্সাসের বোকা চিকা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে রকেটটি ছোড়া হলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। এই ঘটনাটি স্পেসএক্সের সপ্তম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ছিল, আর চলতি বছরের প্রথম পরীক্ষা।
রকেটের ব্যর্থতার পর ইলন মাস্ক নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠাট্টার ছলে লেখেন, “সাফল্য নিশ্চিত নয়, তবে বিনোদন যে মিলবে, তা নিশ্চিত!” যদিও মাস্ক মজার ছলে বলেছেন, কিন্তু এর পেছনে রয়েছে প্রযুক্তিগত বড় সমস্যা। স্পেসএক্স জানিয়েছে, রকেটের অক্সিজেন বা জ্বালানি ট্যাঙ্কে লিক থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মাস্ক লিখেছেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে আমাদের রকেটের অক্সিজেন অথবা জ্বালানি লিক করেছিল, যা অত্যাধিক চাপ সৃষ্টি করেছিল। ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য আমরা লিক নিয়ে সচেতন থাকতে দুইবার পরীক্ষা করব এবং আরও উন্নত ফায়ার সাপ্রেশন ব্যবস্থা কার্যকর করব।”
এদিকে, মহাকাশে রকেট ভেঙে পড়ার দৃশ্য ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এত উন্নত প্রযুক্তি থাকার পরেও কেন বারবার স্পেসএক্স ব্যর্থ হচ্ছে? তবে অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যর্থতাগুলোই ভবিষ্যতে সফল উৎক্ষেপণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা যোগাবে।
স্টারশিপ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল অন্য গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করা, বিশেষত মঙ্গল গ্রহে। এই রকেট একসঙ্গে ১০০ জন নভোচারী বা ১০০ টন মালামাল বহন করতে পারে। মাস্কের মতে, “ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানের জন্য এই রকেট বিপ্লব আনবে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, ব্যর্থতাই আমাদের সফলতার পথ তৈরি করবে।”