Meteor shower to continue for 24 hours! Earth will witness it, where will it be visible? : প্রকৃতির অপার বিস্ময় যেন কখনও ফুরায় না। আমাদের মহাবিশ্ব প্রতি মুহূর্তে কিছু না কিছু আশ্চর্য নিয়ে হাজির হয়। আর তারই এক দুর্লভ সাক্ষী হতে চলেছে এই পৃথিবী। ৩০ জুলাই রাত থেকে শুরু হয়েছে এক টানা ২৪ ঘণ্টার উল্কাবৃষ্টি, যেটি এক মহাজাগতিক অভিজ্ঞতার সাক্ষী করবে কোটি কোটি মানুষকে। প্রতি বছর জুলাই-আগস্টের মাঝামাঝি এই সময়ে ঘটে এমন ঘটনা—কিন্তু এবারের দৃশ্য একেবারে স্পষ্ট, নাটকীয় ও আলোকোজ্জ্বল বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।এই বিশেষ উল্কাবৃষ্টির পেছনে আছে ‘সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিডস’ নামের একটি নির্দিষ্ট মহাজাগতিক ঘটনাপুঞ্জ, যার উৎস ধূমকেতু ৯৬পি/মাছোলজ। এই ধূমকেতুটি প্রতি ৫.৩ বছর অন্তর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তারই কক্ষপথে ফেলে যাওয়া ধূলিকণা ও বরফের খণ্ডিত অংশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে উল্কা হয়ে ঝরে পড়ে।
‘লাইভ সায়েন্স’-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ রাত থেকে আকাশে দেখা যাবে এক দুর্লভ উল্কাবৃষ্টি। এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৫টি উল্কা আকাশে পতিত হবে। মানে প্রতি দুই-তিন মিনিটে একবার করে আকাশ চিরে ঝলসে পড়বে আলোর ফুল!উল্কাপাত হবে অন্ধকার আকাশে—তাই চাঁদের আলো না থাকলেই সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে এই দৃশ্য। রাত ২টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে এটি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। উল্কাগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দক্ষিণ-পূর্ব আকাশের দিকে দেখা যাবে।এই উল্কাবৃষ্টি চোখে পড়বে পৃথিবীর দুই গোলার্ধ থেকেই—উত্তর এবং দক্ষিণ। তবে যেহেতু ‘সাদার্ন ডেল্টা অ্যাকোয়ারিডস’-এর অবস্থান মূলত দক্ষিণ গোলার্ধমুখী, সেই কারণে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোতে এটি কিছুটা বেশি উজ্জ্বল এবং সুস্পষ্ট হবে।
সরকারি মহল থেকে এমন কোনও নির্দিষ্ট ঘোষণা বা সতর্কতা জারি হয়নি, যেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক, নিরীহ ও দৃশ্যমান জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) ও বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা এই উল্কাবৃষ্টি পর্যবেক্ষণের জন্য আগ্রহী নাগরিকদের নির্দিষ্ট সময়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।কিছু বিজ্ঞান কেন্দ্র ও প্ল্যানেটোরিয়াম যেমন দিল্লির নেহরু প্ল্যানেটোরিয়াম ও কলকাতার বিড়লা তারামণ্ডল, তারা এই ঘটনার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থাও করছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।