Mamata-Abhishek’s picture under foot, MLA’s son in controversy:-জামুরিয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং-এর ছেলে প্রেমপাল সিং সম্প্রতি এক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, প্রেমপাল সিং-এর পায়ের নিচে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সমন্বিত ব্যানার রয়েছে। এমনকি, ওই ব্যানারে বিধায়ক হরেরাম সিং-এর ছবিও দেখা যায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।বিজেপি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাদের মতে, এই ঘটনা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন। বিজেপির এক নেতা বলেন, “তৃণমূলের নেতার ছেলেই যদি তাদের শীর্ষ নেতাদের প্রতি এমন অসম্মান প্রদর্শন করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে কী বার্তা যায়?”
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “এইভাবে ফটোর নিচে দাঁড়ানো উচিত হয়নি। এটি অনভিপ্রেত এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ।”তবে, প্রেমপাল সিং এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন যে, তিনি দলের এক অনুষ্ঠানের ছবি গুলো নিচে সাজিয়ে রেখেছিলেন। তার মতে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ঘটনা এবং এর পেছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই।এই ঘটনার পর স্থানীয় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু মানুষ এই ঘটনাকে গুরুত্বহীন বলে মনে করছেন, আবার কিছু মানুষ এর মাধ্যমে দলের শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “নেতাদের পরিবারের সদস্যদের এমন আচরণে দলের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং নেতৃত্বের প্রতি সদস্যদের সম্মানবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যদি এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, তাহলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।তবে, এই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অনেকেই মনে করছেন, দলের শীর্ষ নেতারা এই বিষয়ে শীঘ্রই পদক্ষেপ নেবেন এবং বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন।সামগ্রিকভাবে, এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য একটি সতর্কবার্তা। দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নেতাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সকল সদস্যকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। নাহলে, এই ধরনের ঘটনা দলের ভাবমূর্তি এবং জনসমর্থনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে যে, দলের নেতাদের পরিবারের সদস্যদেরও রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলা উচিত। কারণ তাদের কর্মকাণ্ড সরাসরি দলের উপর প্রভাব ফেলে। তাই, এই ধরনের ঘটনা এড়াতে দলের পক্ষ থেকে সদস্যদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য শিষ্টাচার সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করা উচিত।সর্বশেষে, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে তাদের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আরও মজবুত করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে এবং দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকবে।