Malda residents happy with state’s ‘River Linking’ project to prevent erosion: বন্যার হাত থেকে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের রক্ষা করতে রাজ্য সরকার বড় পদক্ষেপ নিল। বুধবার, রাজ্য বাজেটে ঘোষণা করা হলো ‘নদী বন্ধন’ প্রকল্প, যার লক্ষ্য গঙ্গা ভাঙ্গন রোধ করা। এই প্রকল্পের আওতায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মালদার বাসিন্দারা। গঙ্গার ভাঙ্গন মালদহের অন্যতম প্রধান সমস্যা। প্রতি বছর নদী তীরবর্তী মানিকচক, রতুয়া, বৈষ্ণবনগরসহ একাধিক অঞ্চলে শত শত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষের জন্য এটি একটি দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ। যদিও অতীতে একাধিকবার ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি। ফলে বছর বছর মানুষকে ঘরবাড়ি হারিয়ে ত্রাণ শিবির কিংবা অস্থায়ী ত্রিপলের নিচে দিন কাটাতে হয়। তবে এবার বাজেট ঘোষণার পর নতুন আশার আলো দেখছেন তাঁরা। কামালতিপুর এলাকার বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল বললেন, “গত বছর আমাদের বাড়ি, জমি সবকিছু নদী গর্ভে চলে গেছে।
কোনো সাহায্য পাইনি। এখন এই প্রকল্পের কথা শুনে একটু স্বস্তি পেলাম।” ভাঙ্গনের সমস্যা এতটাই প্রকট যে, প্রতিবছর নদীর গতিপথ বদলে নতুন নতুন এলাকা গিলে খাচ্ছে গঙ্গা। স্থানীয় বিধায়কও স্বীকার করেছেন যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে আগামী দিনে আরও বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বেন। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “নদী বন্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে টেকসই ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করা হবে।” প্রকল্পের কাজ শুরু হলে বাস্তবিক পরিবর্তন কতটা আসে, সেটাই দেখার বিষয়। তবে মালদার মানুষের দাবি, এই প্রকল্প যেন কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না থাকে, বাস্তবে দ্রুত কাজ শুরু হয়।