Major disaster at Microsoft : সম্প্রতি মাইক্রোসফ্টের সার্ভারে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের ঝাঁঝ গোটা বিশ্ব অনুভব করেছে। এই প্রযুক্তিগত বিপর্যয় কেবল তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেই নয়, বিমান, ব্যাংকিং, টেলিযোগাযোগের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে বড় বড় সংস্থায় কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে টেসলা, যা তার অত্যাধুনিক উৎপাদন লাইনের জন্য পরিচিত, তারা মাইক্রোসফ্টের এই বিপর্যয়ের জেরে বেশ কয়েকটি উৎপাদন বিভাগে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। কর্মদিবসের মধ্যেই বিভিন্ন অফিসের কম্পিউটার স্ক্রীনে নীল পর্দা নেমে আসার ঘটনা ঘটেছে, যা কর্মীদের মধ্যে বিপুল অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।
এই ঘটনা ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন টেসলায় ব্যাপক হতাশা এবং ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। টেসলার উৎপাদন যেমন অস্টিন, টেক্সাস এবং স্পার্কস, নেভাদা শাখায় রাতের শিফটের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এই বিপর্যয়ের জেরে মাইক্রোসফ্ট সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল অন্যান্য সংস্থার মতো টেসলাও তাদের কর্মীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছিল। ইলন মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে লেখেন, এই প্রযুক্তি বিপর্যয়ের কারণে তাদের কাজ বিঘ্নিত হয়েছে এবং তারা তাদের সমস্ত সিস্টেম থেকে ক্রাউড স্ট্রাইক মুছে ফেলেছেন, যা আরও বিপর্যয় এড়াতে তাদের সাহায্য করবে।
এই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিনির্ভর সংস্থাগুলির জন্য নিরাপদ ও স্বাধীন প্রযুক্তি পরিকাঠামোর গুরুত্ব আরও বাড়ছে। একটি সিস্টেমের ব্যর্থতা গোটা বিশ্বের বাণিজ্যিক কাঠামোকে কীভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে, তা এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট। এই প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের ঘটনা অন্যান্য কোম্পানিগুলিকেও সতর্ক করে দিচ্ছে যে তাদেরও উচিত তাদের সিস্টেমের নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করা। এই বিপর্যয়ের ফলে একটি শিক্ষা পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রযুক্তির উপর নির্ভরতা যতই বাড়ুক না কেন, তার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির ঝুঁকিও বাড়ছে।
