Landslide in Andal, panic:অন্ডালের খাস কাজোড়া অঞ্চলে কয়লা খনির ধসের ফলে একটি ইংরেজি মাধ্যম নার্সারি স্কুল ধসে পড়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে গভীর আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে, আজির বাগান এলাকায় বিকট শব্দে স্কুলটির নিচের অংশ হঠাৎ ধসে যায়। সৌভাগ্যক্রমে, সেই সময় স্কুল চলছিল না, ফলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে, স্কুল চলাকালীন এই ধস হলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারত, তা ভেবে স্থানীয়রা আতঙ্কিত।
এই স্কুলে প্রায় দেড়শো ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ধসের ফলে স্কুল ভবনটি প্রায় মাটির নিচে চলে গেছে। স্কুল সংলগ্ন একটি বাড়িও মাটির গভীরে তলিয়ে গেছে। আশেপাশের এলাকায় যে কোনো মুহূর্তে ধসের প্রভাব পড়তে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে রয়েছেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, ইসিএল কর্তৃপক্ষ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করছে। খনির ভূগর্ভস্থ অংশে কয়লা কেটে নেওয়ার পর সেই অংশগুলি বালি দিয়ে ভরাট করার নিয়ম রয়েছে, যা মানা হচ্ছে না। এর ফলেই এই ধরনের ধসের ঘটনা ঘটছে।
কয়লাখনি ধস কবলিত এলাকার পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে ভারতের কোলিয়ারি মজদুর সভা (সিআইটিইউ) ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণে পুনর্বাসনের কাজ থমকে আছে। এদিকে, ইসিএল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনে ঝুঁকি বাড়ছে।
এই ধসের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে ইসিএল কর্তৃপক্ষের থেকে সঠিক পদক্ষেপ ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে, স্থানীয় প্রশাসন ও ইসিএল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।এই ধসের ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, কয়লা খনির এলাকায় সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নিয়ম মেনে কাজ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নইলে, এমন দুর্ঘটনা যে কোনো সময় ঘটতে পারে, যা মানুষের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।