Jaya Prada at the inauguration of Jagaddhatri Puja:বারুইপুরের নতুন ভোর সোসাইটি আয়োজিত জগদ্ধাত্রী পূজার উদ্বোধন এবছর বিশেষ এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে পরিণত হলো, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ জয়া প্রদা। এই পূজা আয়োজনের তৃতীয় বছরে নতুন ভোর সোসাইটি সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে, যা এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান ব্যানার্জী।
নতুনপাড়ার এই পূজা মণ্ডপ, বারুইপুর হসপিটালের বিপরীতে অবস্থিত, দর্শনার্থীদের কাছে এবার আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে সনাতন রুদ্র পালের তৈরি প্রতিমা ও চন্দননগরের আলোতে সজ্জিত কথাকলি নৃত্যশৈলীর আদলে গড়ে ওঠা আলোকসজ্জার জন্য। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা নতুন ভোর সোসাইটির বছরের পর বছর ধরে করা সমাজকল্যাণমূলক কাজের প্রশংসা করেন এবং তাদের ভবিষ্যতের কাজের জন্য উৎসাহ দেন। বারুইপুর পৌরসভার পৌর প্রধান শক্তি রায়চৌধুরী এবং উপ-পৌরপ্রধান গৌতম কুমার দাস এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এবং তাঁদের মতে এই পূজা শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং সামাজিক ঐক্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল বিশিষ্ট অভিনেতা খরাজ মুখার্জির উপস্থিতি এবং সংগীত শিল্পী কুমার শানুর আশীর্বাদে গায়ক কাজীবর রহমানের পরিবেশনায় গান। এই সুরেলা পরিবেশনা দর্শকদের মনোমুগ্ধ করে তোলে এবং এই পূজার আয়োজনকে আরও বর্ণময় করে তোলে। দর্শকরা স্থানীয় গায়ক কাজীবরের গান উপভোগ করেন এবং সেই সাথে পূজার আয়োজনকারীরা নতুন প্রজন্মের মাঝে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও সৃষ্টিশীলতাকে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় প্রশংসিত হন।
প্রতি বছর এই পূজায় নতুন কিছু যোগ করার চেষ্টা করে নতুন ভোর সোসাইটি, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী উৎসবের প্রতি নতুন উদ্দীপনা যোগায়। এলাকার বাসিন্দা সুমিত্রা দাস বলেন, “আমরা খুব আনন্দিত যে আমাদের এলাকায় এমন সুন্দর এক পূজা হয়। আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে এসে প্রতিমা দর্শন ও অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করতে পারছি।”এ বছর জগদ্ধাত্রী পুজোতে জয়া প্রদার উপস্থিতি এই আয়োজনকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলেছে। তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বারুইপুরের মানুষদের এমন উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি মুগ্ধ। আপনারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এমন সুন্দর পরিবেশে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত।” তাঁর বক্তব্যে মুগ্ধ দর্শকরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর আগমনে পুরো উৎসবের আবহাওয়া প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই ধরনের আয়োজন বারুইপুরের মানুষকে যেমন ঐক্যবদ্ধ করে, তেমনই স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে সহায়ক হয়। জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে চারিদিকে সাজানো আলো এবং সুরের সমাহার এলাকার পরিবেশকে এক অনন্য মাত্রা প্রদান করে, যা বারুইপুরের বাসিন্দাদের জন্য গর্বের বিষয়। স্থানীয় উদ্যোক্তা ও আয়োজকরা জানান যে, এই ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা বদ্ধপরিকর এবং এই আয়োজনে সকলের অংশগ্রহণ এলাকাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।