Saturday, May 31, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্যফের কি করোনার চোখরাঙানি তে দেশ

ফের কি করোনার চোখরাঙানি তে দেশ

Is the country in the grip of Corona again? : ২০২৫ সালের মে মাসের শেষ দিনে, যখন গ্রীষ্মের ছুটি আর আইপিএলের উত্তেজনায় দেশ মাতোয়ারা, তখন হঠাৎ করেই ফের একবার করোনার ছায়া ঘনিয়ে এল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২,৭১০-এ পৌঁছেছে, যা মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে প্রায় ১,৭০০ জনের বৃদ্ধি। এই হঠাৎ বৃদ্ধির পেছনে মূলত কেরল, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির অবদান, যেখানে যথাক্রমে ১,১৪৭, ৪২৪ এবং ২৯৪ জন সক্রিয় রোগী শনাক্ত হয়েছে।এই নতুন সংক্রমণের ঢেউয়ের পেছনে রয়েছে করোনার নতুন দুই উপ-ভ্যারিয়েন্ট LF.7 এবং NB.1.8.1, যদিও JN.1 এখনও দেশের প্রধান স্ট্রেন হিসেবে বিদ্যমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি আগের তুলনায় কম মারাত্মক হলেও, সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই ভ্যারিয়েন্টগুলিকে Variants Under Monitoring (VUMs) হিসেবে চিহ্নিত করেছে, অর্থাৎ এখনও সেগুলি Variants of Concern (VOCs) নয়।

দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৬, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃতদের মধ্যে অধিকাংশেরই পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল, যেমন ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনি রোগ ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, মহারাষ্ট্রে ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ARDS এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, যিনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন। দিল্লিতে ৬০ বছর বয়সী এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে, যিনি অস্ত্রোপচারের পর কোভিড পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতাপরাও যাধব জানিয়েছেন, “আমরা আগের কোভিড ঢেউয়ের সময় যে পরিকাঠামো তৈরি করেছি, যেমন অক্সিজেন প্ল্যান্ট, ICU বেড ইত্যাদি, তা পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম।”

9k=

বিশেষজ্ঞরা সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ICMR-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ রাজীব বাহল বলেন, “এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকা জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “যারা ক্যান্সার রোগী বা ইমিউনিটি কম, তাদের জন্য অতিরিক্ত সাবধানতা প্রয়োজন।”এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকারগুলি হাসপাতালগুলিতে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, টেস্টিং কিট এবং ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বয়স্ক এবং কো-মর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জনগণকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই নতুন সংক্রমণের ঢেউ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কোভিড এখনও সম্পূর্ণরূপে বিদায় নেয়নি। তবে, আগের অভিজ্ঞতা এবং প্রস্তুতি আমাদের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে। সতর্কতা এবং সচেতনতা বজায় রেখে আমরা এই চ্যালেঞ্জও অতিক্রম করতে পারব।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments