India’s world record in T20 cricket: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রথম ওভারে রেকর্ড গড়েছিল ভারত। আর ২০ তম ওভারটাও রেকর্ড গড়ে শেষ করল। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাত উইকেটে ১৭৬ রান তুলল ভারত। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ রান। ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যতগুলি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছে, তার মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ রান। এতদিন সেই রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ২০২১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭৩ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেটা ১৮.৫ ওভারেই তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেইসঙ্গে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জিতেছিলেন অজিরা। ফাইনাল ম্যাচ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইয়ে। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড যখন ১৭২ রান তুলেছিল, তখন সেটাই কোনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল। কিন্তু সেই রেকর্ড ১৮.৫ ওভার টিকেছিল। সেক্ষেত্রে ভারতের রেকর্ড কতদিন টিকবে? সেটা বোঝা যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ইনিংসের সময়। যদি ভারত রানের পুঁজি রক্ষা করতে পারে, তাহলে আরও কমপক্ষে দু’বছর সেই রেকর্ড থাকবে টিম ইন্ডিয়ার ঝুলিতে। কারণ ২০২৬ সালে আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। এই ম্যাচে ভারতের ব্যাটসম্যানদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স ছিল।
রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তাদের জোড়া ইনিংসের মধ্যে দিয়ে ভারত একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে। পাশাপাশি, সূর্যকুমার যাদবের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও ভারতের রানকে বাড়াতে সাহায্য করে। ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলি বলেছিলেন, “এটি একটি স্বপ্নের ম্যাচ ছিল। আমরা আমাদের সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছি এবং এই রেকর্ড আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।” রোহিত শর্মা যোগ করেন, “আমাদের দল একসঙ্গে খেলেছে এবং আমরা একটি দুর্দান্ত ফলাফল পেয়েছি। এটি আমাদের সকলের কঠোর পরিশ্রমের ফল।” এই রেকর্ড ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য একটি বড় খুশির কারণ। ক্রিকেট একটি ধর্মের মতো ভারতীয় সমাজে, এবং এই ধরনের জয় এবং রেকর্ড তারা অত্যন্ত গর্বিত করে তোলে। রেকর্ড স্থাপনের পর, দেশের বিভিন্ন জায়গায় উদযাপন শুরু হয়। মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের রাস্তায় মানুষ নেমে আসে এবং তারা এই জয় উদযাপন করে। তরুণরা পতাকা নিয়ে নাচে এবং সবাই একসাথে ভারতীয় দলের সাফল্য উদযাপন করে।

ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভবিষ্যত সম্পর্কে এই জয় একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়। এই রেকর্ড দেখায় যে, দলটি কতটা শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতামূলক। এই ধরনের পারফরম্যান্স দলের মনোবল বাড়ায় এবং আগামী দিনগুলোতে আরও ভাল পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুত করে। এছাড়াও, ভারতীয় দলের কোচ এবং সমর্থকরা বলছেন যে, এই জয়টি তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। তরুণ খেলোয়াড়রা এই ধরনের পারফরম্যান্স দেখে উদ্বুদ্ধ হবে এবং তাদের সর্বোচ্চ দিতে প্রেরণা পাবে। এই রেকর্ডটি ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হয়ে থাকবে। এটি একটি নতুন উচ্চতা স্থাপন করেছে এবং ভারতীয় দলের জন্য এটি একটি বিশাল সাফল্য। এটি ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে একটি চিরস্থায়ী স্মৃতি হয়ে থাকবে। এই জয়ের পর, ভারতীয় দল আরও বড় বড় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে এবং তাদের ক্ষমতার সেরা প্রদর্শন করবে।
এই রেকর্ডের পর, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাদের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেছে এবং তাদের জন্য একটি বড় পুরস্কার ঘোষণা করেছে। বিসিসিআই-এর সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, “আমরা আমাদের দলের পারফরম্যান্সে গর্বিত। এই জয় আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সাফল্য এবং আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করি।” ভারতের ক্রিকেট দলে রয়েছে রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামি, যশপ্রিত বুমরাহ এবং আরও অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়।
এই জয়ের পর, ভারতীয় দল এখন তাদের পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তারা আগামী দিনগুলোতে আরও বড় বড় জয় নিয়ে আসবে। এই রেকর্ডটি ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য একটি গর্বের বিষয় এবং এটি তাদের মনে একটি চিরস্থায়ী স্মৃতি হয়ে থাকবে।