...
Friday, April 4, 2025
Google search engine
Homeটপ 10 নিউসদেশচতুর্থচন্দ্রযান: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের পরবর্তী অভিযান

চতুর্থচন্দ্রযান: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের পরবর্তী অভিযান

India’s next mission to the Moon’s south pole: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চতুর্থ চন্দ্রযান মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানান, এই মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং সেগুলো পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, “তৃতীয় চন্দ্রযান মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং হয়েছে। চাঁদের মাটিতে খনিজ, ইলেকট্রন ক্লাউড, থার্মাল উপাদানের খোঁজ পাওয়া গেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠে কম্পন কেমন হয়, সেই বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে এই মিশন। চতুর্থ চন্দ্রাভিযান একটা বড়সড় পদক্ষেপ। এই মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং ফের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।”

এই মিশনে চারটি মডিউল চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে। এরপর দুটি মডিউল চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন ব্যাখ্যা করেন, শুধুমাত্র একটি মডিউল চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। একটি মডিউলকে চাঁদের পৃষ্ঠেই রেখে দেবে ইসরো। এই মিশনে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করবে জাপানের এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ)।\চতুর্থ চন্দ্রযান মিশন ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ISRO Representative Image

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে চাঁদের গঠন, খনিজ সম্পদ এবং ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া যাবে। এই মিশন সফল হলে, ভারত চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে।স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য এই মিশন গর্বের বিষয়। ইসরোর এই সাফল্য দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রতীক। স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মহাকাশ বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। শিক্ষার্থীরা ইসরোর এই সাফল্য দেখে অনুপ্রাণিত হবে এবং ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় অবদান রাখতে উৎসাহিত হবে।

Chandrayaan 4 Venus Orbiter Mission Bharatiya Antariksh Station Chandrayaan 3 ISRO

ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন বলেন, “এই মিশন আমাদের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে আমরা চাঁদের সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারব।”চতুর্থ চন্দ্রযান মিশনের ভবিষ্যৎ প্রভাবও বিশাল। চাঁদের খনিজ সম্পদ ও অন্যান্য উপাদান সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া গেলে, ভবিষ্যতে চাঁদে মানব বসতি স্থাপন বা খনিজ সম্পদ আহরণের সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে। এছাড়া, এই মিশন ভারতের মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

gaganyaan

ইসরোর এই মিশন দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য এটি গর্বের বিষয় এবং ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় আরও অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.