India vs Pakistan in Champions Trophy ‘Dubai’ : অবশেষে শেষ হলো দীর্ঘ অপেক্ষা ও জল্পনা। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর সময়সূচী প্রকাশ করেছে। যেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে, বহু প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইতে। এই সিদ্ধান্ত বিসিসিআই এবং আইসিসির মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর গৃহীত হয়েছে, যা সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা এবং উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি, যেখানে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে। পুরো টুর্নামেন্টটি চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত, যেখানে ফাইনাল হওয়ার কথা রয়েছে লাহোরে। তবে, যদি ভারত ফাইনালে পৌঁছায়, তাহলে সেই ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে।
এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেবে আটটি দল। দলগুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।
গ্রুপ A: ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ।
গ্রুপ B: অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড।
ভারত তার প্রথম ম্যাচ খেলবে ২০ ফেব্রুয়ারি, দুবাইতে। এছাড়া ভারতের তিনটি গ্রুপ ম্যাচ এবং প্রথম সেমিফাইনালও হবে দুবাইতে। বিসিসিআইয়ের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য উদ্বেগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময়ই ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য আবেগ এবং উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে এই ম্যাচ দুবাইতে হওয়ায় সমর্থকরা আরও বেশি উত্তেজিত। পাকিস্তানের হোম ভেন্যুতে ম্যাচ হওয়ার বদলে দুবাইয়ের নিরপেক্ষ পরিবেশে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
ফাইনাল হওয়ার কথা লাহোরে। তবে, যদি ভারত ফাইনালে পৌঁছায়, তাহলে সেই ম্যাচ লাহোর থেকে সরিয়ে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আইসিসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে।
আইসিসি-র এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, “দুবাইতে ম্যাচ আয়োজন করা আমাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এটি সমর্থকদের জন্যও ভালো, কারণ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে উভয় দলের ভক্তরা সমানভাবে ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন।”

অন্যদিকে, পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড এই সিদ্ধান্তে প্রথমে কিছুটা অস্বস্তি প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত তারা আইসিসি-র সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে। এক পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলেন, “আমরা চাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সফল হোক। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ হলেও, আমরা আশা করছি এটি সমর্থকদের জন্য একটি স্মরণীয় প্রতিযোগিতা হবে।”
ভারত এবং পাকিস্তানের সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ এটি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাবে। আবার অনেকেই মনে করছেন, হোম ভেন্যুতে ম্যাচ না হওয়া কিছুটা হতাশাজনক।