Icor notice of the pimp seller is viral, is it true?:তামিলনাড়ুর এক ফুচকা বিক্রেতার আইকর নোটিশ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এই নোটিশে বলা হয়েছে যে, তিনি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৪০ লক্ষ টাকা অনলাইন পেমেন্ট পেয়ে গেছেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি আইকর নোটিশ জারি করা হয়েছে। খবরটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গেছে এবং নেটমাধ্যমে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই নোটিশটি আদৌ সত্যি কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, একদিকে যেমন এটি সত্যি হতে পারে, আবার অন্যদিকে এটি হয়তো কোনো ভুল বা ভুল তথ্যও হতে পারে।
এই আইকর নোটিশের মধ্যে বলা হয়েছে যে, ফুচকা বিক্রেতার ইউপিআই পেমেন্টের মাধ্যমে ৪০ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে। নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি রেজরপে এবং ফোনপে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করেছেন। এ ধরনের বিশাল অঙ্কের পেমেন্টের জন্য ব্যবসার আয়বাজার থেকে আয়ের ওপর জিএসটি (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স) দেওয়ার বিধান রয়েছে, এবং তাই এই নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এই নোটিশে আরো বলা হয়েছে যে, ফুচকা বিক্রেতাকে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে নিজে উপস্থিত হয়ে সমস্ত নথি জমা করতে হবে এবং তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, কিছু মানুষ এটিকে অত্যন্ত অবাস্তব এবং অত্যধিক বলেও মনে করছেন। তারা বলছেন, ফুচকা বিক্রেতার মতো ছোট ব্যবসায়ীর পক্ষে এত বড় অঙ্কের পেমেন্ট পাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। অন্যদিকে, বেশ কিছু মানুষ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হয়তো এই ছোট ব্যবসায়ীদের পক্ষে বড় বড় কর নীতির বোঝা সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে।
এদিকে, ব্যবসায়ী মহল থেকে কিছু মানুষের বক্তব্য এসেছে যে, তারা বিশ্বাস করেন যে এটি হয়তো ভুল বোঝাবুঝির ফলস্বরূপ হতে পারে। এর আগেও এমন ঘটনার উদাহরণ পাওয়া গেছে যেখানে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে একটি ভুল আইকর নোটিশ জারি করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই ধরনের ভুল নোটিশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা সব সময়ই থাকে, তবে যদি এটি সত্যি হয়, তাহলে হয়তো ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, কারণ তারা এমনকি এমন কোনো বড় ব্যবসায়ীদের মতো প্রস্তুত নয় যাতে তারা নিয়ম অনুযায়ী সব ধরনের কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারে।
তবে এ ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে, গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স আইন অনুসারে, যদি কোনো ব্যবসায়ী ২০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয়ের ঘোষণা না করেন তবে তাদের থেকে আয়কর বা জিএসটি আদায় করা সম্ভব নয়। তবে সেই সীমার মধ্যে থাকা ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা হতে পারে যে, তারা যদি নিজেদের আয়ের সঠিক হিসাব না রাখেন, তবে তাদের ওপর এ ধরনের নোটিশ আসতে পারে।

এছাড়া, এই ঘটনার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ফুচকা বিক্রেতার সামাজিক মাধ্যমের উপস্থিতি। বর্তমানে বেশিরভাগ ছোট ব্যবসায়ী তাদের পণ্য বিক্রির জন্য সামাজিক মাধ্যমে নির্ভরশীল, এবং এর মাধ্যমে তাদের আয় আরও বাড়তে পারে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি কখনো কখনো ট্যাক্স বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। আর সে কারণেই এই ধরনের নোটিশ সবার জন্য একটি সতর্কতা হতে পারে।
তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নোটিশ নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন যে, এই ধরনের নোটিশ কেবলমাত্র ছোট ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের অবিচার, আবার অন্যরা মনে করছেন যে, এটি কেবল একটি আইনি প্রক্রিয়া যা ঠিকভাবে অনুসরণ করা উচিত। তবে, এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে, এই নোটিশটি আদৌ সত্যি, নাকি এটি একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল।